পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে বাংলাদেশের মশা!
২ আগস্ট ২০১৯ ১১:৫০
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার পেছনে বাংলাদেশের এডিস মশার ভূমিকা থাকতে পারে— এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে খুব ডেঙ্গু হচ্ছে। আমাদের বাড়তি সাবধানতা নিতে হবে। সীমান্ত এলাকায় মশা ওপার থেকে এপারে আসে, এপার থেকে ওপারে যায়। দু’পারেই অনেক লোকও যাতায়াত করেন। তাই ডেঙ্গু সংক্রমণের প্রবণতা বাড়তে পারে বলে সতর্ক করে দেন তিনি।
আনন্দবাজারসহ পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ‘সবুজ বাঁচাও’ অভিযানের ডাক দিয়ে বিড়লা তারামণ্ডল থেকে নজরুল মঞ্চ পর্যন্ত পদযাত্রা করেন মমতা। সমাজের সব স্তরের মানুষের অংশ নেন এই বর্ণাঢ্য মিছিলে। মিছিল শেষে বক্তৃতায় ডেঙ্গু প্রসঙ্গে মুখ খোলেন মমতা। সেখানেই বাংলাদেশের এডিস মশা নিয়ে উদ্বেগ জানান তিনি।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার সূত্রে পাওয়া তথ্য দিয়ে আনন্দবাজার বলছে, বাংলাদেশে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ১৭ হাজার ১৮৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ৪৭৭, মারা গেছে ১৪ জন। কলকাতা পুরসভার কাছে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ডেঙ্গু মোকাবিলা পদ্ধতি সম্পর্কে বুঝতে বাংলাদেশ প্রস্তাবও পাঠিয়েছে। বিষয়টি বিবেচনা করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
এসব প্রসঙ্গে মমতা বলেন, বাংলাদেশে কিছু হলে এখানে তার প্রভাব পড়ে। তাই সীমান্ত এলাকাগুলোতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়াও সাধারণভাবে ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সতর্কতা নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন করে দেন মমতা।
বাংলাদেশের মতো এত বেশি পরিমাণে না হলেও পশ্চিমবঙ্গেও ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু। এরই মধ্যে রাজ্যে ৭০০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্তবর্তী এলাকা হাবরায়। জেলার সরকারি হিসাবে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে ওই এলাকায়। জেলার ব্যারাকপুরে ৫৬, অশোকনগর-কল্যাণগড়ে ৫৬, ভাটপাড়ায় ৩৮ ও বিধাননগরে ৩০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া টিটাগড়ে ৫৩, পানিহাটিতে ৪০ ও খড়দায় ৩৬ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
সারাবাংলা/টিআর
এডিস মশা ডেঙ্গু জ্বর পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়