ঈদের প্রভাব পেঁয়াজ-রসুন-আদায়
২ আগস্ট ২০১৯ ১৬:৪২
ঢাকা: রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজির দাম কমলেও বেড়েছে পেঁয়াজ, রসুন এবং আদার দাম। বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বাড়ছে।
শুক্রবার (২ আগস্ট) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজিতে প্রতি কেজিতে দাম কমেছে অন্তত ১০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচে প্রতি কেজিতে দাম কমেছে অন্তত ৪০ টাকা।
কারওয়ান বাজারের পাইকারি আড়তে দেশি পেঁয়াজের কেজি ৩৬ থেকে ৪০ টাকা, খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ২৮ থেকে ৩০ টাকা। রসুন ১৬৫ থেকে ১৭০ এবং আদা বিক্রি হচ্ছে ১৩২ টাকা দরে।
পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতা আব্দুস সোবহান বলেন, রোজায় দেশি পেঁয়াজের কেজি ছিল ৩০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। মৌসুম শেষ হয়ে গেছে, যে কারণে দাম বেড়েছে।
আরেক বিক্রেতা কুদ্দুস বলেন, ঈদের কারণে পেঁয়াজ, রসুন, আদার চাহিদা বেশি। সেই তুলনায় সরবরাহ কম। তাই দাম বাড়ছে।
এদিকে প্রতি কেজি কাকরোল ৭০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ টাকা, ঝিঙা ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, ঢেড়স ৪০ টাকা, করল্লা ৪০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, শশা ৮০ টাকা, গাজর ৭০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা আঁটি, পুঁই শাক ২৫ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা নোমান বলেন, ২০ দিন আগেও সবজির দাম বেশি ছিল। এখন সব সবজির দামই কম। বেশির ভাগ সবজির দাম কেজিতে অন্তত ১০ টাকা কমেছে। এ সপ্তাহে শুধু শশার দাম বেড়েছে।
ফার্মগেট এলাকা থেকে কারওয়ান বাজারে এসেছেন গৃহিনী রহিমা বেগম। তিনি বলেন, সবজির দাম কমলেও পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম অনেক বেশি। ঈদের আগে এগুলোর দাম বেশি থাকলেই তো আমাদের সমস্যা।
বেসরকারি চাকরিজীবী হাবিব বলেন, প্রতি বছরই ঈদের আগে এসব পণ্যে দাম বেড়ে যায়। এবারও বেড়েছে। বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করা উচিত।
শাহীনবাগের বউবাজারে পটল ৪০ টাকা, ঢেড়স ৪০ টাকা, টমেটো ১শ’ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা, করল্লা ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১২০ টাকা ও শশা ৬০ থেকে ১শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বর্ষা মৌসুম হলেও এখনই বাজারে উঠেছে শীতকালীন সবজি সিম, ফুলকপি ও পাতাকপি।