ডেঙ্গু প্রতিরোধে নাগরিক উদ্যোগ শুরু
২ আগস্ট ২০১৯ ২৩:৪৮
ঢাকা: ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে গণসচেতনতা বৃদ্ধি ও রোগের জন্য দায়ী এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংসের উদ্দেশ্যে রাজধানীতে বিভিন্ন এলাকার তরুণদের নিয়ে শুরু হয়েছে ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে নাগরিক উদ্যোগ’। ফেসবুকে ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে নাগরিক উদ্যোগ’ নামের এক ফেসবুক পেজ থেকে চালানো হয় এই কর্মসূচি।
শুক্রবার (২ আগস্ট) রাজধানীর মগবাজার মধুবাগ এলাকায় এই কর্মসূচী শুরু করা হয় সকাল ১০ টায়। কর্মসূচিতে প্রায় ৫০ টি বাড়ির সামনে জমানো পানি এবং ময়লা পরিষ্কার করে সেখানে মশা নিধন করার ঔষধ স্প্রে করা হয়।
এই উদ্যোগের তরুণরা এ সময় বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে গিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলেন এবং এলাকার বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা পানি ও ময়লা পরিষ্কার করেন। এছাড়াও মসজিদে গিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন এবং অনুরোধ করেন সচেতনতা বৃদ্ধিতে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে।
‘ #StopDengue ‘ হ্যাশট্যাগ দিয়ে চালানো এই কর্মসূচির বিষয়ে ইয়ুথ ফর ডেমোক্রেসী এন্ড ডেভেলপমেন্টের সাধারণ সম্পাদক বাপ্পাদিত্য বসু বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আমরা কাজ শুরু করেছি। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। সামনের দিনগুলিতেও চেষ্টা করবো ঢাকা শহরের প্রতিটি স্থানে গিয়ে কাজ করতে। ডেঙ্গু প্রজননক্ষেত্র ধ্বংসের জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রকার উপকরণ কেমিক্যাল, স্প্রেয়ার মেশিন ইত্যাদি নিয়ে আমরা বিভিন্ন এলাকায় যাবো। ‘
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সমাজের সকলের কাছে আহবান জানাবো যার যার এলাকায় সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালানোর জন্য। নিজেদের বাড়ি ঘর যদি নিজেরা পরিষ্কার রাখতে পারি তবে ডেঙ্গুর জন্য দায়ী এডিস মশা কখনো মানুষের বিরুদ্ধে জয়ী হতে পারবে না।’
কর্মসূচি প্রসঙ্গে অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট নাহিদ এনাম বলেন, ‘ এবারের ডেঙ্গু ইতোমধ্যেই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিটি হাসপাতালেই রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অবস্থায় নাগরিক হিসেবেও আমাদের অনেক দায়িত্ব আছে। আমরা সেই দায়িত্ব পালন করতে আজ এখানে এসেছি।’
কর্মসূচিতে অংশ নেন অনলাইন একটিভিস্ট ফরহাদ হোসাইন অভি। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকে যদি নিজের এলাকা পরিষ্কার করার দায়িত্ব নেই তবে এই সমাজে একটা মানুষকেও ডেঙ্গু রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে না। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো। শুধু দরকার নাগরিক সচেতনতা, আমরা সেটা বৃদ্ধি করতেই কাজ করছি।’
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ডা. সুব্রত ঘোষ বলেন, ‘ডাক্তার হিসেবে রোগীর সেবা দেওয়া আমাদের কর্তব্য। কিন্তু নাগরিক হিসেবেও আমাদের দায়িত্ব আছে অনেক। সেই নাগরিক দায়িত্বই আমরা পালন করতে এসেছি। ‘
অনলাইন একটিভিস্ট স্বপন জামিল বলেন, ‘নিজেদের বাসা বাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের দায়িত্ব। একই সঙ্গে নিজেদের এলাকাও সেই দায়িত্বই আমরা পালন করতে এসেছি। প্রতিটি এলাকায় যদি এভাবে সবাই এগিয়ে আসে তবে মশার আতংক নির্মূল করা সম্ভব।’
‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে নাগরিক উদ্যোগ’ ছাড়াও কর্মসূচিতে অংশ নেয় ইউথ ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ইক্যাড নামে দুইটি সংগঠন।
‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে নাগরিক উদ্যোগের’ পক্ষ থেকে জানানো হয়, যেখানেই ডাকা হবে সেখানে গিয়েই কাজ করতে আগ্রহী তারা।
এডিস মশা ডেঙ্গু প্রতিরোধে নাগরিক উদ্যোগ ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে গণসচেতনতা