এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড: প্রতিবেদন জমা ১১ সেপ্টেম্বর
৪ আগস্ট ২০১৯ ১২:৩৫
ঢাকা: রাজধানীর বনানী এলাকায় এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ পিছিয়েছে। মামলাটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আগামী ১১ সেপ্টম্বর দিন ঠিক করেছেন আদালত।
রোববার (৪ আগস্ট) মামলাটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। তবে এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক জালাল উদ্দিন প্রতিবেদন জমা দিতে পারেননি। এ জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী নতুন তারিখ ঠিক করে দেন।
ভবনটির বর্ধিত অংশের মালিক বিএনপি নেতা তাসভিরুল ইসলাম এবং ভবনের জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। মামলাটিতে গত ১১ এপ্রিল তাসভিরুল ইসলাম এবং ৬ মে এস এম এইচ আই ফারুক জামিন পান। গত ৩০ মার্চ দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে গুলশানের বারিধারা এলাকা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করে ফারুককে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক, টাওয়ারের বর্ধিত অংশের মালিক তাসভিরুল ইসলাম, রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান ওরফে মুকুল এবং এফ আর টাওয়ার বিল্ডিং ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা অসৎ উদ্দেশ্যে আর্থিক সুবিধার লোভে নির্মাণ বিধিমালা না মেনে চরম অবহেলা ও তাচ্ছিল্যপূর্ণ কার্যকলাপের ফলে এফ আর টাওয়ারে এই মর্মান্তিক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ১৯৯৬ সালের এফ আর টাওয়ারের নকশা অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদিত নকশায় ১৮ তলা ভবনের উল্লেখ থাকলেও নির্মাণ করা হয়েছে ২৩ তলা। পরে ২০০৫ সালে এফ আর টাওয়ারের মালিকপক্ষ রাজউকের কাছে আরেকটি নকশা জমা দেয়। ১৯৯৬ সালে মূল যে নকশা রাজউক অনুমোদন দিয়েছিল তার সঙ্গে নির্মিত ভবনটির অনেক বিচ্যুতি দেখা গেছে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মিল্টন দত্ত বাদী হয়ে দণ্ডবিধির ৪৩৬/ ৩০৪(ক)/ ৪২৭/ ১০৯ ধারায় মামলা করেন। এজাহারে এস এম এইচ আই ফারুক, রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান ও তাসভীরুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।
গত ২৮ মার্চ দুপুরে বনানীর ওই ভবনের অষ্টম তলায় আগুন লাগে। দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। দুর্ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।