রাঙ্গামাটিতে বৃষ্টির মধ্যেই সড়ক সংস্কার!
৪ আগস্ট ২০১৯ ১৫:৩২
রাঙ্গামাটি: পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে বৃষ্টির মধ্যেই শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বনরূপায় সড়কের সংস্কার কাজ করেছে জেলা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। তবে এভাবে সড়ক সংস্কার করায় অসন্তোষ ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে গাড়ি চালক ও স্থানীয়রা।
জানা গেছে, রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি-বান্দরবান সড়কের বিভিন্ন অংশ অনেকদিন ধরেই খানা-খন্দে ভরে আছে। সম্প্রতি টানা বর্ষণে ওই সড়কের আরও অনেক জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়। এখনও মৌসুমী বায়ুর কারণে মাঝে মধ্যেই বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু এই বৃষ্টির মধ্যেই সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এছাড়া বর্ষা মৌসুমেই সড়কের পাশে ফুটপাত ও ড্রেনের কাজ শুরু করায় সরু হয়ে গেছে রাস্তাটি। এ জন্য প্রায় সময়ই এই সড়কে যানজট লেগে রয়েছে। আর ফুটপাত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাস্তার ওপর দিয়ে জনসাধারণের হাঁটাচলা দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়িয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকেই এ সড়কের খানা-খন্দ ও গর্ত সংস্কারের কাজ শুরু করেছে সওজ। সকাল ১১টার দিকে প্রবল বৃষ্টির পর সড়কের সংস্কার উপযোগী বিভিন্ন স্থানের গর্তে পানি ঢুকে গেছে। তবুও সড়ক বিভাগ বৃষ্টিভেজা রাস্তায় ভিটুমিন দিয়ে সংস্কারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি খানা-খন্দে জমা পানির ওপর কার্পেটিং করতেও দেখা গেছে তাদের।
দুপুরে বনরূপা বাজারে আসা মো. সবুজ উদ্দিন বলেন, ‘এভাবে বৃষ্টির মধ্যে কাজ করলে রাস্তা বেশিদিন টিকবে না। আমার তো মনে হচ্ছে, সড়ক বিভাগ বৃষ্টির মধ্যে লোক দেখানো সংস্কার কাজ করছে। বৃষ্টিতে কাজ করার ফলে দুয়েকদিনের মধ্যেই সড়কের সংস্কার করা গর্তগুলো আবারও আগের জায়গায় ফিরে আসবে। এতে করে সরকারের টাকা অপচয় হবে ঠিকই, কিন্ত জনসাধারণ সুফল পাবে না।’
পথচারী সুবল চাকমা বলেন, ‘শুকনো সময়ে সংস্কার কাজ না করে এভাবে বৃষ্টির মধ্যে কাজ করার কোনো মানে হয় না। বৃষ্টিতে সংস্কারের কাজ করলে কয়েকদিন পর রাস্তাটি আবারও নষ্ট হয়ে যাবে। এতে আমাদের দুর্ভোগ আর কমবে না। এভাবে রাষ্ট্রের টাকা নষ্ট করা উচিত নয়।’
অটোরিকশা চালকরা জানান, সড়ক বিভাগ রোদের দিনে সংস্কার কাজ না করে এখন কাজ শুরু করেছে। এই রাস্তাটি অনেক আগে থেকেই খানা-খন্দে ভরা। তাদের কী এতদিন চোখে পড়েনি? এখন তারা বৃষ্টির মধ্যে কাজ করছে। এখন সংস্কার কাজ করলে এই রাস্তা বেশিদিন টিকবে না।
এ বিষয়ে জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আবু মুছা বলেন, ‘সড়কের মাঝে বড় বড় গর্তের কারণে গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। সেজন্য সকালে আমরা কাজ শুরু করি। সকালে কাজ শুরুর সময় বৃষ্টি ছিল না। হঠাৎ করেই বৃষ্টি নেমেছে। তবে এটি সংস্কার কাজ এবং যা করা খুব জরুরি। এছাড়া সংস্কারের জন্য যে মালামাল নিয়ে আসা হয়েছে, সেগুলো ব্যবহার না করলে নষ্ট হয়ে যাবে। তাই বাধ্য হয়ে সংস্কার কাজ করা হয়েছে।’