আইনমন্ত্রীর পদে থাকার অধিকার নেই: মাহবুব উদ্দিন খোকন
৪ আগস্ট ২০১৯ ১৬:৪৬
ঢাকা: জাতিসংঘের নির্যাতন বিরোধী কমিটির ক্যাট সভায় আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের দেওয়া বক্তব্যকে অবাস্তব উল্লেখ করে তার পদে থাকার অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
রোববার (৪ আগস্ট) সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে ল’ রিপোর্টার্স ফোরামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, জাতিসংঘের একটি সভায় বাংলাদেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে মিথ্যাচার ও গুম-খুনের বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জাতিসংঘের নির্যাতন বিরোধী কমিটির (কমিটি এগেইনস্ট টর্চার) সভায় যে বক্তব্য ও প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তার সঙ্গে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া পরিস্থিতির কোনো মিল নেই। তিনি অবাস্তব বক্তব্য দিয়েছেন। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রশ্নে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে মিথ্যাচার করেছেন। আমি বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক হিসেবে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘কাগজে কলমে দেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা বলা থাকলেও বাস্তবতা ভিন্ন। দেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তার লেখা বইতে ও কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার আবেদনে বলেছেন, সরকারের পক্ষে, সরকারের কথায় ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় না দেওয়ায় তাকে জোরপূর্বক অসুস্থ বানিয়ে দেশ ত্যাগে বাধ্য ও প্রধান বিচারপতির আসন থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। এছাড়াও বিচারকরা যেন সরকারের কথায় রায় দেয় এ উদ্দেশ্যে বিচারকদের মনে ভীতি সঞ্চারের অভিপ্রায়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট দুর্নীতির মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
যে দেশের একজন প্রধান বিচারপতি ন্যায় বিচার পান না, সে দেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কতটুকু প্রশ্নবিদ্ধ তা দেশের মানুষের জানা আছে, বলেন মাহবুব উদ্দিন খোকন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার তার পরিবার বা আমাদের (আইনজীবীদের) সঙ্গে এখনো পর্যন্ত কোনো আলোচনা করেনি।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার প্যারোলের বিষয়ে সরকার বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছে। কিন্তু ওইসব বক্তব্য দেওয়া ছাড়া তারা (সরকার) প্যারোলের বিষয়ে তার (খালেদা জিয়ার) পরিবার বা আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি। সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখেছে। সরকার তাকে জেলে রেখেই রাজনীতি করতে চায় বলেও তিনি মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।