বগুড়ায় বন্যায় ভেসে গেছে ২৬ কোটি ১৪ লাখ টাকার মাছ
৪ আগস্ট ২০১৯ ২০:৪২
বগুড়া: বন্যায় বগুড়ার মাছ চাষীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ৬টি উপজেলায় ৪ হাজার ৫৫২টি পুকুরের ১ হাজার ৫৩২ মেট্রিক টন মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এতে মাছ চাষীদের ২৬ কোটি ১৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়া ২৫ হাজার ৩৪৯.৯০ হাজার হেক্টর জমির পাট, আউস, শাক সবজি, মরিচ, আমনের বীজতলা, আখ বন্যার পানিতে তলিয়ে ক্ষতি হয়েছে।
সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, ধুনট, গাবতলী, শাজাহানপুর ও শেরপুরের ৩টি পৌরসভা সহ ৪৩টি ইউনিয়নের ৩৭৭ গ্রামের ৮৪ হাজার ৩৪৪ পরিবারের ৩লাখ ৩৩ হাজার ৩৫৭ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অন্যদিকে নদী ভাঙনে ৬৭০টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ এবং ৫ হাজার ৭০৭ ঘরবাড়ি আংশিক নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ৬ হাজার ৫২ জন বন্যার্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন।
বন্যায় সারিয়াকান্দি উপজেলায় সাপের কামড়ে ১জন, সোনাতলা উপজেলায় ৩জন, গাবতলীতে ৩জন ও ধুনট উপজেলায় পানিতে পড়ে ১জন সহ মোট ৮জন মারা গেছে। বন্যায় ২৮৫ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা এবং ৯৫.৬০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিপুল পরিমাণ পশুর খাদ্য বিনষ্ট হয়েছে। বন্যায় ১৭৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২০টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ৩টি মাদ্রাসায় পানি প্রবেশ করে ক্ষতি হয়েছে। এসব স্কুল মাদ্রাসায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
বগুড়া জেলা প্রশাসক মোঃ ফয়েজ আহাম্মদ জানিয়েছেন বন্যার্তদের মাঝে ৩ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ১০১২.৫০০ মেট্রিক টন জিআর চাল, ১৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা জিআর ক্যাশ, ৩ লক্ষ টাকার শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য ও ৩ লক্ষ টাকা পশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য বিতরণ করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানিয়েছেন, রোববার সকালে যমুনা নদীর পানি কমে বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে বাঙ্গালী নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
যমুনা নদীর পানি অধিকাংশ বাড়িঘর থেকে সরে গেছে। কিন্তু বন্যায় বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি মেরামত করতে না পারায় এখনও বাঁধে আশ্রিতরা বাড়িঘরে ফিরতে পারেনি। বাড়িঘর মেরামতের জন্য সরকারি সহযোগিতা চায় বানভাসিরা। তবে বন্যা কবলিত মানুষের দুর্ভোগ এখনও কমেনি।