ডেঙ্গু রোগীদের জন্য এফবিসিসিআই’র ব্লাড ব্যাংক
৫ আগস্ট ২০১৯ ০৩:৪২
ঢাকা : দেশব্যাপী ভয়াবহ ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ব্লাড ব্যাংক স্থাপন করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। একইসঙ্গে সংগঠনের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু জ্বরে বিস্তার প্রতিরোধে আতঙ্কিত না হয়ে যথাযথ সচেতনতা গ্রহনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে এফবিসিসিআই। এছাড়াও সংগঠনের পক্ষ থেকে ডেঙ্গুর ভাইরাস টেস্টে প্রয়োজনীয় কিট আমদানির ক্ষেত্রে কোন করণীয় থাকলে তা করারও আশ্বাস দিয়েছেন।
রোববার ( ৪ আগষ্ট) রাজানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই কায্যলয়ে ‘ডেঙ্গুজ্বরের বিস্তার রোধে করণীয় শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তব্য এসব তুলে ধরা ধরেন। এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম এফবিসিসিআই কার্যালয়ে বিকেলে রক্তদানের মাধ্যমে এফবিসিসিআইয়ের এই ব্লাড ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম এর সভাপতিত্বে সভায় এফবিসিসিআই নেতৃবৃন্দ ছাড়াও দেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশন এবং বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: মুনতাকিম আশরাফ, সহ-সভাপতি নিজামুদ্দিন রাজেশ, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. এম. এ. মুবিন খান বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও জাহাঙ্গীরনগর হসপিটালের চেয়ারম্যান ডা. মো: জাহাঙ্গীর আলম, সিটি মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. রেফায়েত উল্লাহ শরিফ।
সভায় বক্তারা বলেন, সময়মত যথাযথ চিকিৎসা প্রদান নিশ্চিত করা গেলে ৯৫% ডেঙ্গুরোগীকে সৃস্থ করে তোলা সম্ভব। বক্তারা দেশের বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় আতঙ্কিত না হয়ে সরকার এবং বেসরকারি খাতের সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সচেতনতা সৃষ্টির ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। নিজ বাসস্থানসহ আশেপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার ওপর তারা বিশেষ গুরুত্ব দেন। সভায় বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন যে, সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণীর ডেঙ্গুরোগীদেরকে তারা বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে এফবিসিসিআই তার অন্যান্য কার্যক্রমের মতই ডেঙ্গুজ্বর বিস্তার প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। এছাড়াও এফবিসিসিআই ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীদেরকে প্রয়োজনীয় রক্ত সরবরাহের লক্ষ্যে ‘ব্লাড ব্যাংক’ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, নিজেদের বাসস্থান ও কর্মস্থল এবং এফবিসিসিআইয়ের সদস্য রিহ্যাব-এর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানো হবে বলেও তিনি জানান। চলমান বর্ষা মৌসুম শেষে আগামি বছরের জন্যও এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে বলে শেখ ফাহিম উল্লেখ করেন।
সারাবাংলা/জিএস।