ঢাকা: রাজধানীর সায়দাবাদের একটি আবাসিক হোটেল থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার হওয়া এক যুবক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। ওই যুবকের নাম নাসির উদ্দিন (২১)।
সোমবার (৫ আগস্ট) কর্তব্যরত চিকিৎসক নাসিরকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত নাসির কুমিল্লা জেলার বড়ুরা উপজেলার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অনার্সের ছাত্র।
ওই যুবকের স্ত্রী পরিচয় দেওয়া সানজিদা আক্তার মনিরা জানান, তার বাসা নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে। তিনি নারায়ণগঞ্জ মহিলা কলেজে অনার্সে পড়েন। দেড় মাস আগে তারা গোপনে বিয়ে করেছিলেন। সোমবার সকালে সানজিদার সঙ্গে দেখা করতে হোটেলের ২০৫ নম্বর কক্ষে ওঠেন নাসির উদ্দিন। এর আগেও, দেখা করতে তারা একবার সায়েদাবাদের ওই হোটেলে উঠেছিলেন। তবে হোটেলের নাম বলতে পারেননি মনিরা।
সানজিদা জানান, দুপুরে দুইজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এরপর রাগ করে নাসির গোপনে সানজিদার ওড়না নিয়ে বাথরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। অনেকক্ষণ বাথরুম থেকে বের না হওয়ায় সানজিদা হোটেলের কর্মচারীদের ডাকেন।
হোটেলের লোকজনের সহায়তায় দরজা খুলে দেখা যায়, বাথরুমের হ্যাঙ্গারের সঙ্গে নাসির উদ্দিন ফাঁস লাগিয়েছে। সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুর ২টার দিকে নাসিরকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ বক্সের সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) আব্দুল খান জানান, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে শুনেছি। স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে দুইজন হোটেলে উঠেছিলেন। ঘটনার বিস্তারিত জানতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’