Tuesday 15 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নুসরাত হত্যা মামলা: সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে জেরা


৫ আগস্ট ২০১৯ ১৮:৫১ | আপডেট: ৫ আগস্ট ২০১৯ ২০:০৩
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফেনী: ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২৮তম দিনের মতো সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। এদিন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহমেদকে জেরা করেছেন ঢাকা জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সাবেক এপিপি ফারুক আহমেদ।

সোমবার (৫ আগস্ট) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে ২৮তম দিনের এই সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

এ মামলার আদালতে দোষ স্বীকার করা ১২ আসামির মধ্যে ছয় আসামি দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহমেদের কাছে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- নুসরাতকে যৌন নির্যাতন: সিরাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু জানান, ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আসামি উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও জোবায়ের আহমেদ ১৬৪ ও ৩৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তারা স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিলে বিচারক তাদের পড়ে শোনান এবং তারা সই করেন। এ মামলায় সোনাগাজী ইসলামিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ ১২ জন আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন। সেজন্য ম্যাজিস্ট্রেটদের সাক্ষী রাখা হয়েছে।

আগামীকাল মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) মামলার সাক্ষ্য নেওয়ার পরবর্তী তারিখ ঠিক করা আছে। এদিন আদালতে সাক্ষ্য দেবেন নুসরাতের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী শাহবাগ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সামছুর রহমান, পিবিআই’র এসআই মো. আল আমিন শেখ, সোনাগাজী থানা পুলিশের এসআই ময়নাল হোসেন ও এসআই নুরুল করিম, পিবিআইয়ের পরিবদর্শক মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা ও সন্তোষ কুমার চাকমা এবং ফেনী পিবিআইয়ের এসআই মো. হায়দার আলী আকন।

এ মামলার ৯২ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। গত ২৭ জুন শুরুর পর থেকে প্রতি কর্মদিবসেই আদালত সাক্ষীদের জবানবন্দি রেকর্ড করছেন।

গত ২৭ মার্চ ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাতকে যৌন নিপীড়ন করেন। এ অভিযোগে নুসরাতের মা শিরিন আখতার থানায় মামলা করেন। ওই দিনই অধ্যক্ষ সিরাজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে কারাগারে থেকেই সিরাজ নুসরাতের পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার চাপ দিতে থাকে।

এর মধ্যে গত ৬ এপ্রিল নুসরাত পরীক্ষা দিতে মাদরাসায় গেলে কয়েকজন তাকে কৌশলে ছাদে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে। চার দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় নুসরাতের।

নুসরাতকে যৌন নির্যাতন, আগুনে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা ও নুসরাত হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তদন্ত শেষে তারা জানায়, নুসরাতের পরিবার অধ্যক্ষ সিরাজের নামে মামলা তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানালে নুসরাতকে হত্যার পরিকল্পনা করেন সিরাজ। কারাগারে বসেই সহযোগীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেসব বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নুসরাত মাদরাসায় পরীক্ষা দিতে গেলে তাকে ছাদে ডেকে নিয়ে তার শরীরে আগুন দেওয়া হয়।

নুসরাত হত্যা নুসরাত হত্যা মামলা সাক্ষ্য সাক্ষ্যগ্রহণ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর