হিলিতে মসলার দাম বাড়লেও কমেছে পেঁয়াজ-রসুনের
৬ আগস্ট ২০১৯ ০৮:৪৫
দিনাজপুর: ঈদুল আজহা উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের আড়ৎগুলোতে বেড়েছে বেচাকেনা। এ জন্য দোকানদারদের ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে। তবে চাহিদা অনুযায়ী জোগান কম থাকায় মসলা জাতীয় পণ্য সাদা এলাচ, দারুচিনি ও জিরার দাম বেড়েছে। এদিকে জোগান বেশি থাকায় কিছুটা কমেছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম।
ঈদ উপলক্ষে এমনিতেই মসলা জাতীয় পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে। তার ওপর দৈনন্দিন ব্যবহৃত মসলাগুলোর দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। আমদানি কম থাকায় এগুলোর দাম বেড়েছে বলে জানান আড়ৎ-এর ব্যবসায়ীরা।
হিলি বাজারের বিসমিল্লাহ মসলা ঘরের ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম জানান, ঈদ উপলক্ষে সবধরনের মসলার দাম বাড়েনি। তবে সাদা এলাচ, দারুচিনি ও জিরার আমদানি কম থাকায় সেগুলোর দাম একটু বেড়েছে। প্রকারভেদে এই মসলাগুলোর দাম কেজিতে বেড়েছে ১০০-২০০ টাকা পর্যন্ত।
তিনি আরও জানান, ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতা সমাগম অনেকটাই বেড়েছে। এ জন্য বেচাকেনাও খুব ভালো হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক সাইফুল ইসলাম সারাবাংলাকে জানান, ঈদকে সামনে রেখে হিলি স্থলবন্দরে আমরা প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজের এলসি করেছি। এছাড়া প্রতিদিনই অনেক পেঁয়াজের চালান বন্দরে প্রবেশ করছে। এরকমটা হতে থাকলে ঈদের আগে এই পণ্যের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই।
তিনি আরও জানান, এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে নাসিক, পাটনা ও ইন্দর জাতের পেঁয়াজ আমদানি হয়ে থাকে। বর্তমানে যা প্রকারভেদে ১৮ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বন্দরে পেয়াঁজ কিনতে আসা পাইকার আইয়ুব আলী বলেন, ‘বর্তমানে পেঁয়াজের যে দাম রয়েছে, ঈদের আগ পর্যন্ত এরকম থাকলে, আমরা ব্যবসা করে শান্তি পাব। দাম কম হলেও বিক্রি ভালো হবে আমাদের।’
হিলির বাণিজ্যালয়ের ব্যবসায়ী রাশেদ জানান, সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজ, আাদা ও রসুনের দাম অনেকটাই কমে এসেছে। রসুন কেজিতে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা দরে, আদা কেজিতে ৪০টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। এছাড়া পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৭ টাকা কমে ১৮ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিরামপুর থেকে মসলা কিনতে আসা আসলেমা নামের এক ক্রেতা বলেন, ঈদকে সামনে রেখে নিত্য প্রয়োজনীয় মসলার দাম কিছুটা বেড়েছে। তবুও কিছু করার নেই। সামনে ঈদ, তাই মসলা কিনতেই হলো।
কাস্টমসের তথ্যমতে, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত ছয় কার্যদিবসে শুধুমাত্র পেঁয়াজই আমদানি হয়েছে ২১২ ট্রাক। যার মাধ্যমে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করেছে।