ফটোসেশন না করে পরিচ্ছন্নতায় নামুন, নেত্রী কিন্তু মনিটরিং করছেন
৬ আগস্ট ২০১৯ ১৩:৫৮
ঢাকা: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, ফটোসেশনের জন্য পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করবেন না। আমরা চাই, ঢাকা সিটির প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতা অভিযান। নেত্রী এটা জানতে চেয়েছেন। আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করুন। নেত্রী কিন্তু বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে মনিটরিং করছেন।
মঙ্গলবার (৬আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় তিনি একথা বলেন। এডিস মশা প্রতিরোধে ডেঙ্গু মোকাবিলায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান জোরদার করার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, দলীয় সংসদ সদস্য, থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং নির্বাচিত কাউন্সিলরদের নিয়ে জরুরি সভার আয়োজন করে দলটি। সভায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন মহানগরী গড়ে তুলতে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা উপস্থিত নেতাদের সামনে তুলে ধরেন ওবায়দুল কাদের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এর আগে দেশব্যাপী পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করার কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা আমরা মীন করতে চাই যে, কর্মসূচিটি আমরা সিনসিয়ারলি এবং সিরিয়াসলি পালন করছি। জনস্বার্থে, আমাদের দলের স্বার্থে, নেত্রীর নির্দেশনায় দেশের স্বার্থে এই কাজটি আমরা করছি। ’
ঢাকা সিটিতে প্রতিদিনই নতুন নতুন কেইস আসছে এবং এডিস মশা আক্রান্ত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই সংখ্যা আমরা যতটা নিজে নিয়ন্ত্রণের কথা বলি না কেন? এখনও এটা নিয়ন্ত্রণে আসে নাই। এটা হল বাস্তবতা।
আসন্ন ঈদে ঢাকা সিটি থেকে মানুষ গ্রামমুখী হবে। এ কারণে সেখানেও ডেঙ্গু জ্বরের বিস্তার ঘটার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসাবে আমাদের প্রথম কাজই হচ্ছে অ্যাওয়ারনেস বিল্ডাপ করা।’ এছাড়া এডিস মশার বংশ বিস্তার, প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস, এলাকা ও কর্মস্থল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যারা পরিচ্ছন্ন অভিযান পরিচালনা করেননি আমি তাদের চিহ্নিত করে লজ্জা দিতে চাই না। শুধু বলতে চাই, মন থেকে ও কমিটমেন্ট থেকে এই কাজটা করতে হবে। আমাদের একজন নেতা আছেন, তিনি শেখ হাসিনা। তার নির্দেশ আমাদের মেনে চলতে হবে। যারা করেছেন ধন্যবাদ। অব্যাহত রাখবেন। আর যারা প্রোগ্রাম করেননি, প্লিজ আপনারা আপনাদের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালন করবেন। ’
মহানগরের ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সিটি কাউন্সিলরকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি সক্রিয়ভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এডিস মশা কিন্তু ভয়ংকর। এই মশা কামড় দিতে চেহারার দিকে তাকায় না। এডিস মশা সুযোগ পেলেই রক্ত খাবে। মেয়রের রক্ত খাবে, মন্ত্রীর রক্ত খাবে, এমপির রক্ত খাবে, নেতার রক্ত খাবে এবং কাউন্সিলরেরও রক্ত খাবে। কাউকে ছাড়বে না। সাংবাদিকরা যে দাঁড়িয়ে আছেন, তাদেরও রেহাই নাই।’
সভায় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কার্যনির্বাহী সদস্য কামরুল ইসলাম, এসএম কামাল হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, হাজী মোহাম্মদ সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।