Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হটলাইনে অভিযোগ পেয়ে রেলের ৩ জলাশয় ‘উদ্ধারে’ দুদক


৬ আগস্ট ২০১৯ ১৫:৫৮

চট্টগ্রাম ব্যুরো: হটলাইনে অভিযোগ পেয়ে চট্টগ্রামে রেলওয়ের মালিকানাধীন তিনটি বড় জলাশয় (দিঘী) ইজারায় অনিয়ম তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইজারায় অনিয়মের সঙ্গে দখল হয়ে যাওয়া জলাশয়ের আশপাশের রেলওয়ের ভূমিগুলোও উদ্ধারে কাজ করবে দুদক।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকালে দুদকের চট্টগ্রামের একটি টিম তিনটি জলাশয় সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের ভূসম্পদ বিভাগে গিয়ে ইজারা সংক্রান্ত নথিপত্রও সংগ্রহ করেছেন।

জলাশয় তিনটি হচ্ছে- আগ্রাবাদ ডেবা, পাহাড়তলী জোড় ডেবা ও ভেলুয়ার দিঘী।

দুদক, চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয়-২ এর উপ-পরিচালক লুৎফুল কবীর চন্দন সারাবাংলাকে বলেন, ‘গতকাল (সোমবার) আমরা হটলাইন নম্বরে (১০৬) অভিযোগ পাই যে, রেলের তিনটি দিঘী ও এর আশপাশের ভূমি প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলেছে। এর সঙ্গে রেলের একশ্রেণীর কর্মকর্তারাও জড়িত। অভিযোগ পেয়েই আমরা আজ সেখানে গিয়েছিলাম।’

‘ইজারা সংক্রান্ত কাগজ এবং কারা দখল করে আছে সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি। কমিশনে দু’য়েকদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেব। এরপর আমরা অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে দিঘী ও আশপাশের সরকারি সম্পদ উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করব। রাষ্ট্রীয় সম্পদ দখলমুক্ত করতে উদ্ধার অভিযান চালানোর বিষয়টি দুদকের শিডিউলে আছে।’- বলেন দুদকের এই কর্মকর্তা

দুদক ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জলাশয় তিনটি প্রায় ৫৫ একর আয়তনের। মাছ চাষের জন্য ইজারা দেওয়া জলাশয়গুলোর কিছু অংশ ভরাট করে এবং পাড় দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বস্তি, আবাসিক ভবন ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক স্থাপনা। রেলওয়ের এসব ভূমি আবার ইজারা নেওয়া ব্যক্তিরা ব্যক্তিগত সম্পদের মতো বিক্রিও করেছেন। কার্যত জলাশয় এবং সংলগ্ন ভূমির ওপর মালিক প্রতিষ্ঠান রেলওয়ের এখন আর কোনো নিয়ন্ত্রণই নেই।

২১ একরের নগরীর পাহাড়তলীর জোড় ডেবাটি ১৯৯৬ সালে মাছ চাষের জন্য আবদুল হাই নামে এক ব্যবসায়ী ইজারা নিয়েছিলেন। আবদুল হাই মারা গেছেন। কয়েক দফা ইজারার মেয়াদ বাড়ানোর পর জোড় ডেবা এখন আছে তার পরিবারের দখলে। জলাশয়সহ আশপাশের রেলওয়ের ভূমিতে গড়ে তোলা হয়েছে অসংখ্য বস্তিঘর। ২০১৭ সালে জোড় ডেবা উদ্ধারের পরিকল্পনা করলেও ‘অজ্ঞাত কারণে’ পিছিয়ে গেল রেলওয়ে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, নগরীর পাহাড়তলী বাজারের কাছে ভেলুয়ার দিঘী বরাদ্দ দেওয়ার পর থেকে আইনগত জটিলতায় পড়েছে। এ নিয়ে বরাদ্দ গ্রহীতার সঙ্গে উচ্চ আদালতে মামলা চলছে। বর্জ্য ফেলে এই দিঘীর বড় অংশ ভরাট করে ফেলা হয়েছে। সেখানে এখন দোকানপাট গড়ে উঠছে।

২০ একর আয়তনের আগ্রাবাদ ডেবাও আইনগত জটিলতায় পড়েছে। সেটি ইজারা নিয়েছিল রহমত আলী নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি মারা গেছেন। ডেবাটি এখন তার পরিবারের দখলে। মামলা থাকায় ডেবাটি উদ্ধার করতে পারছে না রেলওয়ে।


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর