ঢাকা: ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গত ১১ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের বাসিন্দা মনোয়ার বেগম (৭৫), মানিকগঞ্জ শিবালয়ের বাসিন্দা আমজাদ মন্ডল (৫২), ফরিদপুরের ভাঙ্গার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান (২১) । এ নিয়ে হাসপাতালটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ভোর ৪টার দিকে নিবিড় পর্যবেক্ষন কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মনোয়ারা বেগম (৭৫), ভোর ৬টার দিকে মারা যান আমজাদ মন্ডল (৫২), ও বেলা সোয়া ২টার দিকে মারা যান হাবিবুর রহমান (২১) ।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসির উদ্দিন ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মনোয়ারার বেগমের নাতি সিহাব সারাবাংলাকে জানান, মনোয়ারা বেগমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর হাজিগঞ্জে। ঢাকার মিরপুর-২ নম্বরে থাকেন তারা। গত ৩ আগস্ট ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। গতকাল তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। এরপর আজ ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
মৃত আমজাদের ভাই রাশেদ মন্ডল সারাবাংলাকে জানান, রাশেদ মন্ডলের বাড়ি মানিকগঞ্জেরর শিবালয় উপজেলার তেতুয়াধারা গ্রামে। রাশেদ মন্ডল গ্রামে কৃষিকাজ করতেন। গত তিনদিন আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হোন তিনি। এরপর অবস্থার অবনতি হলে গতকাল রাত ৩টার দিকে হাসপাতালের ৬০১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় তাকে। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে মারা যান রাশেদ মন্ডল।
মৃত হাবিবুর রহমানের মামা আনোয়ার হোসেন সারাবাংলাকে জানান, হাবিবুর রহমানের বাড়ি ফরিদপুর জেলার শিবালয় উপজেলার তুজারপুর গ্রামে। হাবিবুর রহমান কারওয়ান বাজার এলাকায় থাকতেন ও গাড়ির ইঞ্জিন মেরামতের কাজ করতেন। ডেঙ্গুতে গত ৩১ জুলাই ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি হোন। ৩ আগস্ট আইসিইউতে নেওয়া হলে মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে গত সোমবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢামেকের ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারে (ওসেক) মারা যান নকুল কুমার দাস। এর আগে রোববার দিনগত রাতে হাসপাতালের ৭০১ নম্বর ওয়ার্ডে মারা যান হাসান নামের এক কিশোর। একই দিন বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দীপালী আক্তার (২৩) ।