দিলদারের বিরুদ্ধে পুত্রবধূর নারাজি শুনানি বিষয়ে ২৫ আগস্ট
৭ আগস্ট ২০১৯ ২০:০৮
ঢাকা: আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের বিরুদ্ধে গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টাসহ মারধরের অভিযোগে তার ছেলে সাফাত আহমেদের স্ত্রী ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার মামলার অভিযোগের সত্যতা পায়নি মর্মে পুলিশ প্রতিবেদন দিয়েছে। সেই প্রতিবেদনের বিষয়ে পিয়াসা নারাজি দেবেন কি না, সে বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২৫ আগস্ট দিন ঠিক করেছেন আদালত।
বুধবার (৭ আগস্ট) মামলাটির প্রতিবেদন গ্রহণ সংক্রান্ত শুনানির জন্য দিন ঠিক করা ছিল। কিন্তু এদিন মামলার বাদী ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসা অসুস্থ থাকায় তার আইনজীবী মোহাম্মদ উল্লাহ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দাখিলের জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে নতুন করে দিন ঠিক করে দেন।
চলতি বছরের ১৭ জুলাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. মজিবুর রহমান। দিলদার আহমেদ সেলিম এবং আপন রিয়েল এস্টেটের পরামর্শক ও তত্ত্বাবধায়ক মো. মোখলেসুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে তিনি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন।
এর আগে, গত ১১ মার্চ দিলদার আহমেদের ছেলে ও বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের স্ত্রী ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসা আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। এতে দিলদারের সঙ্গে আপন রিয়েল এস্টেটের পরামশর্ক ও তত্ত্বাবধায়ক মো. মোখলেসুর রহমানকেও আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, এ মামলার বাদীর সঙ্গে সাফাতের ২০১৫ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়িতেই থাকেন তিনি। সেখানে শ্বশুর দিলদার আহমেদ তার ওপর নির্যাতন করে আসছেন। স্বামীর অনেক অনৈতিক কাজে পিয়াসা বাধা দিলেও শ্বশুর উল্টো সাফাতকে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করতেন।
অন্তঃসত্ত্বা পিয়াসা গত ৫ মার্চ রাত ৮টার দিকে ওষুধ ও স্বামীর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য কাছাকাছি মার্কেটে যান। বাসায় ফেরার পর দিলদার আহমেদ ও মোখলেছুর রহমান তার মাথায় পিস্তল ঠেকান, চরথাপ্পড় মারেন ও গর্ভপাত করানোর উদ্দেশ্যে তলপেটে লাথি মরার চেষ্টা করেন এবং স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা রেখে এক কাপড়ে বাসা থেকে বের করে দেন।
আপন জুয়েলার্স দিলদার আহমেদ নারাজি শুনানি ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা সাফাত আহমেদ