৮০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ, কাল ঢামেকের ৬ চিকিৎসক-কর্মকর্তার
৭ আগস্ট ২০১৯ ২২:১৪
ফেনী: মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৩০তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। বুধবার (৭ আগস্ট) ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে সাক্ষী দেন পিবিআইয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা।
এ মামলার ৯২ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৮০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলার নথিতে ৯২ জন সাক্ষী উল্লেখ থাকলেও ইতোমধ্যে ৯০ জনকে সাক্ষীর জন্য আদালতে ডাকা হয়েছে। এরমধ্যে ১০ জন উপস্থিত হতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) পুনরায় তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। আগামীকাল যাদের ডাকা হয়েছে তারা হচ্ছেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রস্তুতকারী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস, নুসরাতের মৃত্যুকালীন জবানবন্দি গ্রহণকারী সাক্ষী ঢামেকের সহকারী রেজিস্টার ডা. মোহাম্মদ ওবায়দুল ইসলাম, ঢামেকের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. এ কে এম মনিরুজ্জামান, ঢামেকের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নাস অর্চনা পাল।
ফেনী জেলা জজ আদালতের পিপি হাফেজ আহমেদ জানান, আগামীকাল ৬ ডাক্তার-কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। যদি সম্ভব হয় বাকি ৪ জনকেও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য রাখতে বলেছেন বিচারক। ঈদের পর সাক্ষী দেবেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনাগাজী থানা পুলিশের তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা মো. কামাল হোসাইন ও পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুন থেকে এ মামলার সাক্ষ্য কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুর পর থেকে প্রতি কর্মদিবসে আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করছেন।
চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ১০ এপ্রিল মারা যান নুসরাত জাহান রাফি।