রংপুরে গৃহবধূকে অমানবিক নির্যাতন
৯ আগস্ট ২০১৯ ১২:১৯
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় মিথ্যা অপবাদে গাছের সঙ্গে বেঁধে মানিকা বেগম নামে এক গৃহবধূকে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। শুধু শারিরীক নির্যাতন করেই ক্ষান্ত হননি নির্যাতনকারীরা, কেটে দেয়া হয়েছে মাথার চুল, গলায় পড়িয়ে দেয়া হয়েছিল জুতার মালা।
গত বুধবার (৭ আগস্ট) মানিকার শ্বশুর বাড়ির লোকজন এই নির্যাতন চালায় বলে জানা যায়। এ ঘটনায় মানিকার ভাই বাদী হয়ে ছয় জনের নামে থানায় মামলা করলে দুই জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বুধবার বিকেলে মেয়ের বিয়ে ভেঙে দেয়ার অপবাদ দিয়ে দেবর মতিন মিয়া মানিকা বেগমের বাড়িতে গিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় দেবর মতিন মিয়া, তার মেয়ে মৌসুমী সহ ৬জন মানিকা বেগমকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধরক পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে কেটে দেয়া হয় মাথার চুল, গলায় পড়িয়ে দেয়া হয় জুতার মালা।
মানিকা বেগম জানান, ৪০ দিন আগে মতিন মিয়ার মেয়ে মৌসুমীর বিয়ে হয় পাশের ইউনিয়নে। নানা কারণে গত মাসের ২১ তারিখে মৌসুমীকে তালাক দেয় তার স্বামী। মৌসুমীর সংসার ভাঙলে মিথ্যা দোষ চাপানো হয় মানিকার উপর। নির্যাতনকারীদের শাস্তি দাবী করেছেন মানিকার স্বজনরা।
ঘটনার পর দিন বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) মানিকা বেগমের ভাই বাদী হয়ে ৬ জনের নামে নারী নির্যাতন মামলা করলে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গঙ্গাচড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুশান্ত কুমার সরকার জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে, দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
এদিকে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপোসের চেষ্টা করেন বেতগাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। পরে মানিকার পরিবার আইনের আশ্রয় নেয়। গ্রামবাসী নির্যাতনের পুরো ঘটনাটি স্বচক্ষে দেখলেও ভয়ে এ বিষয়ে কেউই কথা বলছেন না।