ফেনীতে জমজমাট পশুর হাট, ক্রেতা কম
৯ আগস্ট ২০১৯ ১২:৩১
ফেনীর ছয়টি উপজেলায় প্রায় ১৩৯টি পশুর হাট বসেছে। শুক্রবার (৯ আগস্ট) পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন পশুরহাটে প্রচুর গরু উঠলেও এখনো ক্রেতা শূন্য হাটগুলো। এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই ভোগান্তিতে পড়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে আয়তনের দিক থেকে পাশ্ববর্তী জেলার তুলনায় ফেনী ছোট জেলা হলেও বাজারে উঠেছে বড় সাইজের গরু। বৃহস্পতিবার বিকেলে ফেনী সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও সদর হাসপাতাল মোড় পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে ১০-১৫ লাখ দাম হাঁকাচ্ছে ব্যবসায়ীরা এরকম গরু বাজারে উঠেছে। এসব গরু দেখতে মানুষের ভিড় থাকলেও ক্রেতা দেখা যায়নি।
গরু ব্যবসায়ী মো. আবুল কালাম জানান, তিনি প্রতিটি গরুর দাম ধরে রেখেছেন ১২ লাখ টাকা। তবে বিক্রেতারা জানিয়েছেন, হাতে এখনো সময় থাকায় ক্রেতারা বাজার দর দেখছে। গত বছর শেষের দিকে গরুর দাম কম থাকায় অনেকে এবছর শেষের দিকে গরু কিনতে আগ্রহী।
এ বিষয়ে ক্রেতারা জানান, বিক্রেতার এখনো গরুর দাম বেশী হাঁকাচ্ছে। সেজন্য কিনতে আগ্রহী হচ্ছে না ক্রেতারা। তবে মানুষ বিদেশি গরুর থেকে দেশি গরু কিনতে বেশী পছন্দ করছে।
ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী জানান, গরুর বাজার নিয়ে কেউ কোনো চাঁদাবাজি করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। কোরবানীর পশুবাহী গাড়ির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকলে পুলিশ সদস্যদের গাড়ি না থামানোর নির্দেশনা রয়েছে। আসন্ন ঈদে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যেন নিরাপদে থাকে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও কমিউনিটি পুলিশ সমন্বয় করে কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, বেশী টাকা বহন করতে হলে পুলিশকে জানবেন, পুলিশ পাহারায় আপনাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া হবে।