বন্যার্তদের সহায়তায় আরও সাড়ে ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলো ব্র্যাক
৯ আগস্ট ২০১৯ ২০:০০
ঢাকা: বন্যা পরবর্তী ত্রাণ ও পুনর্বাসন কাজে আরও সাড়ে তিন কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে ব্র্যাক। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরে খাবার পানির সংকট, রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় এই টাকা ব্যয় করা হবে।
এর আগে গত মাসে সংস্থাটি জরুরি ত্রাণ সহায়তা হিসেবে প্রাথমিকভাবে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল।
নতুন এই বরাদ্দের মধ্যে প্রায় আড়াই কোটি টাকা (৩ লাখ ডলার) আসছে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেইটস ফউন্ডেশন থেকে। বাকি এক কোটি টাকা ব্র্যাকের নিজস্ব উৎস থেকে দেওয়া হচ্ছে।
বন্যায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত চারটি উপজেলায় এই সহায়তা দেওয়া হবে। উপজেলা চারটি হলো— জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, সিরাজগঞ্জের চৌহালী, গাইবান্ধা সদর ও কুড়িগ্রামের চিলমারী। এ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে যেসব পরিবারের প্রধান নারী এবং যেসব পরিবারে প্রবীণ, অন্তঃসত্ত্বা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি রয়েছেন।
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, ‘বন্যা চলাকালীন ত্রাণ কার্যক্রমের চেয়ে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কোনো অংশেই কম চ্যালেঞ্জিং নয়। কর্মহীনতা, খাবার পানির সংকট এবং বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় এই সময়। তাই সামর্থ্যবান প্রত্যেকেরই উচিত এগিয়ে আসা।’
বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেইটস ফাউন্ডেশনের চিফ স্ট্র্যাটেজি অফিসার এবং গ্লোবাল পলিসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসির প্রেসিডেন্ট মার্ক সুজম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের প্রতি বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেইটস ফাউন্ডেশন জানাচ্ছে গভীর সমবেদনা। বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার গতি বাড়ানোর জন্য আমরা এই জরুরি অনুদানের ব্যবস্থা করেছি। অর্থ ব্যয় হবে পানিবাহিত রোগের বিস্তার রোধ এবং বন্যা পরবর্তী সময়ের অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে।’
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) পর্যন্ত বন্যাদুর্গত ১৩ জেলার ৩৬টি উপজেলায় জরুরি ত্রাণ সহায়তা দেয় ব্র্যাক। এ পর্যন্ত ১৪ হাজারের বেশি পরিবারকে শুকনো খাবার ও নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। খাবার স্যালাইন, বিশুদ্ধ পানি ও নিরাপদ স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে কাজ করছে সংস্থাটির এক হাজারের বেশি ত্রাণকর্মী।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) ব্র্যাকের সিনিয়র মিডিয়া ম্যানেজার মাহবুবুল আলম কবীর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।