পশুর চামড়া সংগ্রহে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ১১ দফা পরামর্শ
১০ আগস্ট ২০১৯ ১৭:০৩
ঢাকা: ‘রফতানির জন্য প্রয়োজন, টেকসই চামড়া আহরণ’ এই স্লোগান নিয়ে কোরবানির পশুর চামড়া সঠিকভাবে সংগ্রহে সচেতনতামূলক ১১ দফা পরামর্শ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
শনিবার (১০ আগস্ট) তথ্য অধিপ্তরের মাধ্যমে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার প্রায় ৮০ ভাগ চামড়াই কোরবানির পশু থেকে সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু কোরবানির সময় অসতর্কতা ও সঠিক পদ্ধতি না জানার কারণে বছরে প্রায় ৩৩০ কোটি টাকার চামড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই লোকসান কমাতে বাংলাদেশ লেদার সার্ভিস সেন্টার নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে টেসকই ও সঠিক পদ্ধতিতে কিভাবে চামড়া সংগ্রহ করা হবে, সে সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। তাতে ১১টি পরার্মশ দেওয়া হয়েছে।
পরামর্শগুলো হলো
১. কোরবানির আগে পশুকে ভালোভাবে গোসল করিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে।
২. কোরবানির আগে পশুকে প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়াতে হবে।
৩. পশুকে পরিষ্কার ও সমতল স্থানে জবাই করতে হবে। যাতে চামড়ায় ময়লা না লাগে।
৪. জবাই করার স্থানে পশুর রক্ত গড়িয়ে পরার জন্য একটি গর্ত করতে হবে। পরে তা ভালভাবে মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
৫. পশুকে পা বেঁধে সাবধানে শোয়াতে হবে।
৬. জবাইয়ের পর পশু নিস্তেজ হলে চামড়া ছাড়নো শুরু করতে হবে।
৭. চোখা মাথার ধারালো ছুরি দিয়ে পশুর বুকের ওপর দিয়ে লেজের গোড়া পর্যন্ত লম্বালম্বিভাবে এবং এক পা থেকে অন্য পা পর্যন্ত চামড়া ফেরে ফেলতে হবে।
৮. বাঁকানো মাথার ধারালো ছুরি দিয়ে পশুর দেহ থেকে চামড়া ছাড়াতে হবে। চোখা মাথার ছুরি দিয়ে চামড়া ছাড়ানো যাবে না। এতে চামড়া ফুটো হয়ে যেতে পারে।
৯. চামড়া ছাড়াতে তাড়াহুড়ো করা যাবে না। স্বাভাবিক গতিতে চামড়া ছাড়াতে হবে।
১০. চামড়া টানা-হেঁচড়া না করে বালতি বা পাত্রে নিতে হবে এবং রোদ কিংবা বৃষ্টি নেই শুকনো জায়গায় খোলা অবস্থায় রাখতে হবে। চামড়ায় রক্ত লাগলে তা দ্রুত ধুয়ে ফেলতে হবে।
১১. চামড়া বিক্রি করতে দেরি হলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় লবণ দিয়ে রাখতে হবে।
এর আগে গত ৬ আগস্ট চামড়ার দাম নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত বছরের মতো এবারও গরুর কাচা চামড়ার দাম ঢাকায় প্রতি বর্গফুট ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। ঢাকার বাইরে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। সারাদেশে খাসির চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় প্রতিবর্গফুট ১৩ থেকে ১৫ টাকা।