ময়মনসিংহে শেষ মুহুর্তে জমজমাট পশুর হাট
১১ আগস্ট ২০১৯ ০৬:৩৭
ময়মনসিংহ: ঈদের সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় কোরবানি পশুর হাটগুলো জমজমাট হয়ে উঠছে। স্থায়ী হাটের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয়দের উদ্যোগে বসেছে অনেক অস্থায়ী হাট। পর্যাপ্ত পশু উঠেছে প্রতিটি হাটে। বড় হাটগুলোতে ভারত ও মায়ানমার থেকে আসা কিছু গরু দেখা গেলেও সবগুলো হাটে দেশীয় গরু-ছাগলেরই আধিক্যই বেশি। গৃহস্থের পাশাপাশি পাইকাররা নিয়ে আসছেন কোরবানির পশু। এসব হাটে পশু বিক্রিও হচ্ছে যথেষ্ট পরিমানে। যাদের পশু রাখার মতো জায়গা আছে এবং স্বল্প সময়ের জন্য লালন পালনের লোকজন আছে, তারা একটু আগেই কিনে নিয়েছেন পছন্দের পশু। অনেকেই বাজার ঘুরে দেখছেন, অপেক্ষা করছেন শেষ মুহুর্তে কেনার জন্য।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবস্থাপনা নিয়ে কিছুটা ত্রুটি থাকলেও কোরবানির পশুর বাজারদর এবং ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই বেশ খুশি।
জেলার সার্কিট হাউজ মাঠে প্রতিবছরের মতো এবারও বসানো হয়েছে কোরবানি পশুর হাট। সেখানে বিভিন্ন ধরনের পশুর সমারোহ দেখা গেছে। ঈদের রাত পর্যন্ত এ হাট চলবে বলে জানিয়েছেন ইজারাদাররা।
এ হাটে সিরাজগঞ্জ থেকে গরু বিক্রি করতে নিয়ে আসা পাইকার হাফিজুর রহমান জানান, তিনি গত কয়েক বছর ধরেই এখানে গরু নিয়ে আসেন বিক্রি করতে। এবারও তিনি ৩টি গরু নিয়ে এসেছেন। এর আগে বুধবার তিনি মুক্তাগাছা নতুন বাজার হাটে আরও দুটি গরু বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই হাটেও ক্রেতারা আসতে শুরু করেছেন। আশা করা যাচ্ছে বিক্রি ভাল হবে।’
মুক্তাগাছার বাঘমারা হাটে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে দেশীয় গরু-খাসির প্রাধান্যই বেশি। সেখানে একটি খাসি বিক্রি করতে আসা আব্দুর রহমান জানান, তার খাসিটি ১৫ হাজার টাকা দাম হচ্ছে। তিনি সেটি ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে চাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘এবার ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্যই বাজার বেশ ভাল।’
হাটে কোরবানির জন্য গরু কিনতে আসা মাহবুবুর রহমান জানান, তিনি ৭৮ হাজার টাকায় একটি দেশীয় ষাঁড় কিনেছেন। এখন তার চাচার জন্য আর একটি গরু কেনার জন্য বাজার ঘুরে দেখছেন। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় একাধিক হাট বসায় ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়ের জন্যই ভাল হয়েছে।’
বিভিন্ন হাটের একাধিক ক্রেতা-বিক্রেতা জানান, অন্যবারের চেয়ে এবার গরুর বাজার বেশ সহনশীল।
সদর উপজেলার দাপুনিয়া হাটে কোরবানির গরু কিনতে আসা ইকরামুল হক সুজন জানান, ভাল করে দেখে শুনে কেনার জন্য বাজার ঘুরছি। এখন অনেকেই বেশি লাভের আসায় ক্ষতিকারক ওষুধ খাইয়ে গরু মোটাতাজা করে থাকেন। সেগুলো কিনে যাতে না ঠকি তাই একটু সময় নিয়ে দেখছি। তবে বাজার দর নিয়ে আমি সন্তুষ্ট।
এদিকে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাল টাকা সনাক্তকরণের ব্যবস্থা, ক্রেতা বিক্রেতার নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাছাড়া পশুর হাটে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা যেনো না ঘটে তার জন্য প্রশসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।