ঢাকা: সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন জোড়া মাথার শিশু (কনজয়েন্ট টুইন্স) রাবেয়া-রোকাইয়াকে দেখতে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১১ আগস্ট) সকালে তিনি সিএমএইচ‘এ যান এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ নেন।
গত ২ আগস্ট হাঙ্গেরির একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল রাবেয়া-রোকাইয়ার জোড়া মাথা আলাদা করতে দীর্ঘ ৩০ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার করেন। অস্ত্রোপাচার শেষে চিকিৎসকরা জানান, শিশু দু’টির অবস্থা স্থিতিশীল। তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
রাবেয়া-রোকাইয়ার শারীরিক অবস্থা জানাতে শনিবার (১০ আগস্ট) সিএমএইচ-এর কমান্ড্যান্ট কনফারেন্স রুমে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ সময় সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. ফসিউর রহমান, সিএমএইচ’র কমান্ড্যান্ট ব্রি. জেনারেল তৌফিকুল হাসান সিদ্দিকী, শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্তলাল সেন, অ্যাকশন ফর ডিফেন্সলেস পিপল এর প্লাস্টিক সার্জন ডা. গ্রেগ পাটাকি, নিউরো সার্জন ডা. এন্ড্র চোকে, পেডিয়াট্রিকস ইনটেন্সিভিস্ট ডা. মার্সেল এবং রাবেয়া-রোকাইয়ার বাবা ও মা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমানে শিশু দু’টিকে পিএসিইউতে রাখা হয়েছে। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল এবং শিশু হাসপাতালের নিউরো ইনটেনসিভিস্টরা তাদের তত্ত্বাবধায়নে রেখেছেন রাবেয়া-রোকাইয়াকে।
তারা বলেন, এ ধরনের অপারেশন অত্যন্ত জটিল, সাফল্যের হারও খুব বেশি নয়। অস্ত্রোপচার পরবর্তী ঝুঁকি এবং জটিলতা অত্যন্ত বেশি।
এর আগে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রীর স্বামী ড. তৌফিক নেওয়াজকে দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের সারাবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালে আসেন এবং তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।