নামাজে আত্মশুদ্ধির ডাক, চট্টগ্রামে ঈদ উদযাপন শুরু
১২ আগস্ট ২০১৯ ১০:০৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: আত্মশুদ্ধি ও ত্যাগের আহ্বানে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে উদযাপিত হচ্ছে মুসলমান সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। নামাজ আদায়ের পরই পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে ঈদ উৎসবে মেতে উঠেছেন চট্টগ্রামবাসী।
সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল পৌনে ৮টায় নগরীর জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে ঈদুল আযহার প্রথম ও প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইমামতি করেছেন জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের পেশ ইমাম মোহাম্মদ আহমুদুল হক।
একইস্থানে সকাল পৌনে ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্বিতীয় জামাত। এতে ইমামতি করেছেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নীয়া আলীয়া মাদ্রাসার প্রধান মোফাচ্ছির কাজী মাওলানা মোহাম্মদ ছালেকুর রহমান।
নামাজের পর খুতবায় দেশ এবং দেশের মানুষের কল্যাণ কামনায় মহান আল্লাহতালার কাছে আকুতি জানানো হয়েছে। ত্যাগের মহিমায় আত্মশুদ্ধি এবং মনের কালিমাকে কোরবানি দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে খুতবায়।
চট্টগ্রাম নগরীতে এবার সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ১৬৮ টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির উদ্যোগে নগরীর ৯৩টি স্থানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকাল ৮টায় এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে আয়োজিত ঈদের প্রধান জামাতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী-শিল্পপতি সহ নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে আসা হাজার হাজার মুসল্লীর সমাগম ঘটে।
সেখানে নামাজ আদায় করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মীর মো.নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, নগর বিএনপির সভাপতি ডা.শাহাদাৎ হোসেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠসসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার প্রায় লাখো মুসল্লী।
নামাজ শেষে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মুসল্লীরা পরস্পরের সঙ্গে আলিঙ্গনের মধ্য দিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
নামাজ আদায়ের পরপরই নগরীর বিভিন্ন অলিগলি, রাস্তায়, মাঠে, বাসা-বাড়ির সামনে কোরবানি শুরু হয়।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, বর্জ্য অপসারণের জন্য প্রায় চার হাজার কর্মী বিভিন্ন ওয়ার্ডে চলে গেছেন। ৩০০টি গাড়িও বের হয়ে গেছে।
তিনি জানান, নিয়মিত আড়াই হাজার টন এবং কোরবানির ৫ হাজার টন মিলিয়ে এবার সাড়ে ৭ হাজার টন বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিকেল ৫টার মধ্যে বর্জ্য পুরোপুরি অপসারণের সময় বেঁধে দিয়েছেন মেয়র।