ঈদের আনন্দ যাতে অন্যের জন্য বিষাদের কারণ না হয়: রাষ্ট্রপতি
১২ আগস্ট ২০১৯ ১৬:০৪
ঢাকা: বাসাবাড়ি ও আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ বলেছেন, ‘কোরবানির পর বর্জ্য যেখানে সেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকলে এডিস মশার উপদ্রব আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই নিজ দায়িত্বে কোরবানির বর্জ্য নির্ধারিত স্থানে ফেলতে হবে।’
এছাড়া ঈদের আনন্দ যাতে অন্যের জন্য বিষাদের কারণ না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে নিজেরা সচেতন হলেই ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব।
দেশবাসীকে পবিত্র ঈদ-উল-আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদ-উল-আজহা। মহান আল্লাহর নির্দেশে হযরত ইব্রাহিম (আ.) আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, অবিচল আনুগত্য ও অকুণ্ঠ আত্মত্যাগের যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন ইতিহাসে তা অতুলনীয়। কোরবানি মানুষকে ত্যাগের পাশাপাশি ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দেয়। কোরবানির মর্ম অনুধাবন করে সমাজে শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় আমাদের সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে।
তিনি বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম, কল্যাণের ধর্ম। ইসলামের এই সুমহান আদর্শ আমাদের সমাজ জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে হবে। এবারের ঈদুল আযহা এমন একটা সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন দেশব্যাপী ডেঙ্গুর প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে নিজেরা সচেতন হলেই ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব।
কোরবানী আমাদেরকে ত্যাগ ও সংযমের শিক্ষা দেয়। তাই কোরবানীর আনন্দকে শুধু আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে আসুন কোরবানী শিক্ষাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনে প্রতিফলিত করি। নিজের আনন্দকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেই। দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলি।
গত মাসের বন্যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বানভাসী মানুষ নানা প্রতিকূলতার মাঝে দিনাতিপাত করছে। বিরূপ পরিবেশের কারণে তারা ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই বানভাসী মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে সামর্থ্যবান সকলকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে ঈদ উপলক্ষে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি হামিদ। স্ত্রী রাশিদা খানম এবং পরিবারের সদস্যরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ঈদ উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, মশিউর রহমানও এসেছিলেন বঙ্গভবনে।