ডিএনসিসিতে কোরবানির বর্জ্য নেই: মেয়র আতিকুল
১৩ আগস্ট ২০১৯ ২১:৩৭
কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকাকে বর্জ্যমুক্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
আজ (১৩ আগস্ট) বিকেলে বর্জ্য অপসারণ অগ্রগতি সম্পর্কিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন ডিএনসিসি মেয়র।
মেয়র জানান, ঈদ উল আজহার প্রথমদিন থেকে এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার ২৩৪ টন বর্জ্য সিটি কর্পোরেশন অপসারণ করে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান মেয়র। ৪৩৮টি যানবাহন ২ হাজার ৪৪৯ টি ট্রিপে এ পরিমাণ বর্জ্য অপসারণ করে।
তবে এই হিসেবের মধ্যে নেওয়া হয়নি বিভিন্ন হাটের বর্জ্য। হাটের তুলনায় পশুর বর্জ্য অপসারণে প্রাধান্য দেওয়া তে বেশকিছু হাটের বর্জ্য এখনও বাকি রয়েছে। সেগুলো দ্রুত অপসারণ করা হবে বলে সিটি মেয়র দাবি করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার আড়াই লাখেরও বেশি পশু কোরবানি হয়। বর্জ্য অপসারণে ডিএনসিসির দুই হাজার ৪০০ কর্মীসহ নয় হাজার ৫০০ কর্মী নিয়োজিত ছিলেন। সকল স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করেছেন।’
সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে ৭, ১১, ৩, ৩১ ও ১৭ (আগে পরিষ্কারের ভিত্তিতে) ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ নিজ নিজ ওয়ার্ড বর্জ্যমুক্ত ঘোষণা করেন। আর আজ সকাল ১১টা থেকে ১ টার মধ্যে সকল অঞ্চল তাদের এলাকা কোরবানির পশুর বর্জ্য শূন্য বলে আমাদের অবহিত করেন।
বর্জ্য অপসারণ করা প্রথম তিনটি ওয়ার্ডকে পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানান আতিকুল ইসলাম। অন্যদিকে এবার সিটি করপোরেশন নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির হার আগের থেকে বেশি হয়েছে দাবি করেন আতিক। তিনি বলেন, ‘নির্ধারিত স্থানে পশু জবাইয়ের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে কোরবানির মাংস বাসায় পৌঁছে দেওয়ায় অনেকে উৎসাহিত হয়ে নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দিয়েছেন।’
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির সংখ্যা মাংস পৌঁছে দেওয়ার উদাহরণ দিয়ে আতিক বলেন, ‘৩ নম্বর ওয়ার্ডে নির্ধারিত স্থানে ৪০০ টি পশু এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ৮টি স্থানে প্রায় ৭০টি পশু জবাই করা হয়। এ সব ওয়ার্ডে চার থেকে দশটি পর্যন্ত গাড়িতে করে নাগরিকদের বাসায় মাংস পৌঁছে দেওয়া হয়।’
অন্য যেকোনো বারের থেকে এবার বর্জ্য অপসারণ দ্রুত হয়েছে দাবি করে এর জন্য নগরবাসীদের এবং সাংবাদিকদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন আতিকুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মঞ্জুর হোসেনসহ অন্যরা।