কাশ্মিরের ‘হারানো’ গৌরব ‘ফিরিয়ে আনা’র শপথ মোদির
১৫ আগস্ট ২০১৯ ১২:০৬
কাশ্মিরের ‘হারানো’ গৌরব ‘ফিরিয়ে আনা’ হবে বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ বিষয়ে নিজের সংকল্পের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের পেছনে এটিও একটি কারণ।’
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেওয়া বক্তব্যে মোদি বলেন, ‘ভারতের উন্নয়নের ক্ষেত্রে কাশ্মীর এখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সংবিধানের ৩৭০ ধারায় কাশ্মিরকে যে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল, সেখানে তা শুধু দুর্নীতিকেই উৎসাহিত করেছে।’
ঐতিহাসিক লাল দুর্গ ময়দানে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এই বক্তব্য দেন মোদি। তবে এসময় তিনি কাশ্মিরের ‘অবরুদ্ধ অবস্থা’ এবং ‘যোগাযোগ বিচ্ছন্নতা’ নিয়ে কিছুই বলেননি।
প্রসঙ্গত, বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার আগের দিন ৪ আগস্ট থেকে জম্মু-কাশ্মিরে নজীরবিহীন নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয় সব ধরনের গণজমায়েত। তবে জম্মু থেকে জরুরি অবস্থা পুরোপুরি তুলে নেওয়া হলেও কাশ্মিরে জরুরি অবস্থা বলবৎ রয়েছে।
এর আগে গতকাল বুধবার (১৪ আগস্ট) পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির সফরে করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এসময় তিনি ‘বিশেষ মর্যাদা’ তুলে নেওয়ার বিষয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেন।
তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনার জবাবে কিছুই বলেননি মোদি বরং তিনি দেশের মধ্যেই যারা এর বিরোধিতা করছেন তাদের সমালোচনা করছেন। বিরোধিতাকারীরা ‘নোংরা রাজনীতি’ করছে বলেও মন্তব্য করেন মোদি। তিনি বলেন, ‘অতীতের সরকারগুলোর কারও এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার সাহস ছিলো না। কারণ তারা দেশের চিন্তা না করে নিজেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশি চিন্তা করতো।’
‘আমি আমার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবি না। আমার জন্য সবার আগে দেশের ভবিষ্যৎ’, বলেন মোদি।
বক্তব্যে মোদি প্লাস্টিকের ব্যবহারের ক্ষতির কথা জানিয়ে লোকজনকে এর ব্যবহার কমানোর অনুরোধ করেন। এছাড়াও তিনি পানির অপচয় রোধ, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং চিকিৎসাব্যবস্থা নিয়েও কথা বলেন।