কাশ্মির ইস্যুতে ৫০ বছর পর বৈঠক নিরাপত্তা পরিষদের
১৬ আগস্ট ২০১৯ ১৬:০৩
পরমাণু শক্তিধর দেশ ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা চলছে কাশ্মির সংকটকে ঘিরে। দু’দেশের বিবাদ মীমাংসা করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি) বিশেষ আলোচনার ডাক দিয়েছে। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর পর কাশ্মির ইস্যুতে পরামর্শমূলক বৈঠকে কথা বলবে শীর্ষ দেশগুলোর প্রতিনিধিরা। পাকিস্তানের অনুরোধে চীন এই আলোচনা আহ্বান করে। সর্বশেষ ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তানের কাশ্মির দাবিকে ঘিরে হয়েছিল রুদ্ধদ্বার বৈঠক। খবর ডনের।
৭০ বছরের বেশি সময়ের পুরনো এই ইস্যু পুনরায় নিরাপত্তা পরিষদে আসাকে জাতিসংঘে পাকিস্তানের প্রতিনিধি মালেহা লোদি দেখছেন কাশ্মিরিদের সমস্যা সমাধানের পথ হিসেবে। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেসে যেভাবে উদ্বেগ জানিয়েছে দখল হওয়া জম্মু ও কাশ্মির নিয়ে। সেভাবে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি এ বিষয়টি সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। ইউএনএসসির প্রস্তাবনা কাশ্মিরিদের অধিকার রক্ষা ও জাতিসংঘের সনদে তাদের মানবাধিকারের বিষয়গুলো নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে।
‘এই বৈঠক কাশ্মির ইস্যুতে জাতিসংঘের করণীয় ঠিক করবে। এছাড়া দেওয়া হতে পারে কোনো বিবৃতি অথবা জাতিসংঘরে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি অধিবেশনেরও প্রস্তাব জানানো হতে পারে। কাশ্মিরেদের ওপর নির্যাতন, তাদের দুঃখ যাতনা বৈঠকে তুলে ধরা হবে’ বলেও জানিয়েছেন লোদি।
চলতি মাসে ভারত-শাসিত জম্মু ও কাশ্মিরের বিশেষ সায়ত্তশাসন ও রাজ্য মর্যাদা সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে মোদি সরকার। তাই কাশ্মিরে চলছে অস্থিরতা। সেখানে মোবাইল, ইন্টারনেট ও চলাচলে বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। স্বাধীনভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে পারছেন না সাংবাদিকরা। ভারত সরকার অস্বীকার করলেও বিবিসির ভিডিও প্রতিবেদনে দেখা যায়, আন্দোলনের চেষ্টা করছেন কাশ্মিরিরা। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন ধীর ধীরে কাশ্মিরের হারানো ‘গৌরব’ ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
কাশ্মির ইস্যুতে সীমান্ত এলাকা লাইন অব কন্ট্রোলে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে ভারতীয় ও পাকিস্তানের বাহিনীর মধ্যে। এ পর্যন্ত চার পাকিস্তানি সৈন্যকে ভারতীয় সেনারা হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। তবে ৫ ভারতীয় সৈন্যের নিহতের খবর পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হলেও ভারত তা স্বীকার করেনি। এসব হট্টগোলের মধ্যে কাশ্মির ইস্যুতে বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা।