‘ফিরে এসে দেখি সব পুড়ে ছাই’
১৬ আগস্ট ২০১৯ ২৩:০১
ঢাকা: রাজধানীর রূপনগরের চলন্তিকা মোড়ের ঝিলপাড় বস্তিতে হাজার বিশেক মানুষের বসবাস। স্থানীয়রা জানান, এখানকার বাসিন্দাদের বেশিরভাগই পোশাককর্মী। বস্তির অনেকেই ঈদের ছুটিতে গ্রামে গেছেন। যারা ফিরেছেন তারাও ঘরে থাকা সহায়-সম্বল কিছুই উদ্ধার করতে পারেননি।
আগুনে পোড়া বস্তিটির অনেক বাসিন্দাকেই রাস্তার পাশে আহাজারি করতে দেখা যায়। কেউ স্বজনকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন। কেউ আবার স্বজনদের খোঁজাখুঁজি করছেন। খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন আগুনে পোড়া-ঘরহীনরা।
এই বস্তির বাসিন্দা পোশাকশ্রমিক ফরিদপুরের মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় দাওয়াত খেতে মিরপুর ছয় নম্বরে এক আত্নীয়র বাসায় যাই। ফিরে দেখি সব পুড়ে ছাই।’ এখান থেকে নেওয়ার মত কিছুই অবশিষ্ট নাই, বলেন তিনি।
বস্তির আরেক বাসিন্দা সুমি বেগম জানান, তিনি বস্তির পাশের দেশ ফার্মাসিউটিকেলসে কাজ করেন। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে মিরপুর দশ নম্বরে হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক নিকট আত্মীয়কে দেখতে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যায় বস্তিতে আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে আসেন। এসে দেখেন, তার ঘর পুরোটাই পুড়ে ছাই। একটি সুতাও বের করতে পারেননি সুমি বেগম। তার ঘরের পাশের বাকি ১০ টি ঘরের ভাড়াটিয়াদের কেউ ঢাকায় নাই। ঈদের ছুটি শেষে এখনও তারা গ্রাম থেকে ফেরেননি বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঝিলপাড় বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭ টা ২২ মিনিটে লাগা এই আগুনে পুুুড়ে ছাই হয়ে গেছে এখানকার প্রায় তিন থেকে ৪ হাজার ঝুপড়ি ঘর। ঘটনাস্থলে থাকা ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (অপারেশন) দীলিপ কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছেন তারা।
তিনি জানান, বস্তিটির একদিকের কিছু অংশ পানির ওপর ভাসমান থাকলেও এসব ঘরের পাটাতন ছিল বাঁশের। এর ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।