Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কাশ্মির ইস্যু: ঐক্যমতে ব্যর্থ নিরাপত্তা পরিষদ


১৭ আগস্ট ২০১৯ ১০:৪৫

পাকিস্তানের অনেক তোড়জোড় ও চীনের অনুরোধে দীর্ঘ ৫ দশক পর নিরাপত্তা পরিষদে উঠল কাশ্মির ইস্যু। তবে অতটুকুই! কাশ্মিরিদের কোনো আশার আলো দেখাতে পারেনি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এই সংস্থা। চীন ব্যতীত নিরাপত্তা পরিষদের অন্য সদস্যরা বলেছেন কাশ্মির সমস্যা ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। এটা তাদের ওপরই ছেড়ে দেওয়া উচিত। খবর সিএনএন-এর।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে হয়েছিল নিরাপত্তা পরিষদের এই রুদ্ধদ্বার বৈঠক। চীনের ইচ্ছা ছিল আর কিছু না হউক অন্তত একটা সম্মিলিত বার্তা বা স্টেটমেন্ট পৌঁছে দেওয়া উচিত পরমাণু শক্তিধর ভারত-পাকিস্তানের কাছে। তবে তাও সম্ভব হয়নি যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, রাশিয়া ও জার্মানির বাধার কারণে।

বিজ্ঞাপন

নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী ৫ সদস্য ও অস্থায়ী ১০ দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠক ছিল এটি। আলোচনায় উপস্থিত ছিল না ভারত কিংবা পাকিস্তান। প্রায় ৯০ মিনিট ধরে চলল আলোচনা। বৈঠকের হয়নি আনুষ্ঠানিক কোনো সংবাদ সম্মেলনও। তবে প্রতিনিধিরা যার যার মতো গণমাধ্যমকে পরিস্থিতি জানিয়েছেন।

রাশিয়ার ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর দিমিত্রি পোলনিস্কি বলেন, আমার জন্মই হয়েছিল ১৯৭১ সালে। এটি এর চেয়েও পুরনো ইস্যু। কখনো কখনো সব বিষয়ে নাক গলানো উচিত নয়।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া ছিল আরও বিনীত। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র বলেন, কাশ্মিরে উত্তেজনা নিরসনে ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ।

আর তাই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এতটাই নিরপেক্ষ ছিল যে, ন্যূনতম একটা বিবৃতিও দেওয়া সম্ভব হয়নি কাউন্সিলের পক্ষে। কারণ তৃতীয় পক্ষের কোনো মন্তব্য কাশ্মির পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করবে বলেই ধারণা চীন ছাড়া অন্য নির্বাহী দেশগুলোর।

বিজ্ঞাপন

নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মির ইস্যু তোলা পাকিস্তানের কূটনৈতিক সফলতা হিসেবে দেখা হচ্ছিল। পাকিস্তানও হয়তো এরচেয়ে বেশি কিছু আশা করেনি। জাতিসংঘে পাকিস্তানের প্রতিনিধি মালেহা লোদি বলেন, কাশ্মিরের নির্যাতিত মানুষের কণ্ঠ শোনা গেছে নিরাপত্তা পরিষদে। অপরদিকে ভারতের প্রতিনিধি সৈয়দ আকবর উদ্দিন সহজভাবে বলেছেন অন্যদের কথাই, ‘এটা ভারতের নিজস্ব বিষয়।’

কাশ্মির ইস্যু জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ পাকিস্তান ভারত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর