ঢাবি: গত এক বছরে ৮ বার হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর। ৩০ জুন ২০১৮ থেকে এ বছরের ১৪ আগস্টের হামলাসহ মোট ৮ বার ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তার ওপর হামলা করেছে বলে অভিযোগ তার। এসব হামলার সাথে জড়িতদের বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন নুর।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৪ আগস্ট পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার উলানিয়া বাজারে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন ভিপি নুর। এতে নুর ছাড়াও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের বেশ কয়েকজন নেতা আহত হন। পরে পুলিশ গিয়ে নুরকে উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
নুর তার ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা-কর্মীদের অযথা হয়রানি বন্ধ করুন এবং যারা হামলার সাথে জড়িত তাদেরকে অতিদ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দিন। কারণ অন্যায়ভাবে কাউকে হয়রানি করে তার মুখ বন্ধ রাখা যায় না।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগেও বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আপনি নিজেই বলেছেন, সরকারের সমালোচনা করতে বাধা নেই, দেশে ভিন্ন মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। তাই আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ ভিন্নমতের মানুষের উপর দমন-পীড়ন বন্ধ করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে আপনার দলের নেতা-কর্মী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিন। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দলীয় প্রভাবমুক্ত করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কার্যকর করুন।’
এর আগে গেল রমজানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও বগুড়ায় তার ওপর হামলা হয়। সে সময়ও তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দাবি করেছিলেন।
বারবার হামলার ঘটনায় প্রাণনাশের শঙ্কা জানিয়ে নুর বলেন, ‘প্রতিবার প্রকাশ্যে ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটলেও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুলিশের সহযোগিতায় চেয়েও পাওয়া যায় নি। পুলিশের নিরব ভূমিকা ছিলো সন্ত্রাসীদের সহায়ক।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৪ আগস্ট পুলিশের উপস্থিতিতেও সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা চালায় এবং পুলিশও আমার আত্মীয়-সমর্থকদের গ্রেফতারের হুমকিও দেয়। সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে নগ্ন হামলা চালালেও ওসি হামলার কথা অস্বীকার করে। এমতাবস্থায় আমি আমার প্রাণনাশের শঙ্কাবোধ করছি।’
ক্ষমতাসীন দলের নেতা ছাড়াও সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার লোকদের কাছ থেকেও প্রতিনিয়ত হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন নুর।