Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পুলিশের পিটুনির পর পেয়ারা বিক্রেতার ‘মৃত্যুর গুজবে’ তুলকালাম


১৯ আগস্ট ২০১৯ ২১:১৯

চট্টগ্রাম ব্যুরো: পেয়ারা বিক্রেতাকে নগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন সদস্যের মারধরের জেরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে নগরীর প্রবেশপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন স্থানীয়রা। পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় জনতার কয়েকদফা সংঘর্ষও ঘটেছে। এর ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতুর দুই পাশে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণ পাশে কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেক এলাকায় এ ঘটনা শুরু হয়েছে।

ঘটনাস্থলে থাকা নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কর্ণফুলী জোন) জাহিদুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘কথা কাটাকাটির জের ধরে ডিবি’র একজন সদস্যের সঙ্গে একজন পেয়ারা বিক্রেতার হাতাহাতি-মারামারি হয়েছে। পেয়ারা বিক্রেতা সম্ভবত আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এসময় ওই পেয়ারা বিক্রেতার মারা গেছেন বলে গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন।’

নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (বন্দর) এস এম মোস্তাইন হোসেন সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, ডিবি’র বন্দর জোনের একটি টিম কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেক এলাকায় অভিযানে গিয়েছিল। টিমের সদস্য এএসআই জাহিদ একজন পেয়ারা বিক্রেতার কাছ থেকে পেয়ারা কেনেন। পেয়ারার দাম নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি-মারামারি শুরু হয়। পেয়ারা বিক্রেতা অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

উপকমিশনার বলেন, ‘খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পেয়ারা বিক্রেতাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। তার বয়স পঞ্চাশের বেশি। তিনি আগে থেকেই প্রেশারের রোগী। এখন সুস্থ আছেন। কিন্তু স্থানীয় লোকজন খুবই উত্তেজিত হয়ে উঠেছেন।’

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক মোরশেদুর রহমান নয়ন সারাবাংলাকে জানান, বিক্ষুব্ধ লোকজন প্রথমে এএসআই জাহিদকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। তারা শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণপ্রান্তে মইজ্জ্যারটেক গোল চত্বরের দুই পাশ অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। এতে উভয়পাশ থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেলও ছুঁড়ছেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। পুলিশের সঙ্গে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

কক্সবাজারগামী বাসের যাত্রী খলিলুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘কয়েকশ গাড়ি আটকে আছে। মাঝে মাঝে দুয়েকটি কোনোমতে ব্যারিকেড পার হতে পারলেও অধিকাংশ গাড়িই আটকে আছে। পাঁচ-ছয়শ লোক সড়কে অবস্থান নিয়েছে।’

সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহিদুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা একদিকে লোকজন সরিয়ে দিলে আরেকদিকে আবার জড়ো হয়ে ব্যারিকেড দিচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি তাদের সরিয়ে দিতে।’

এএসআই জাহিদকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান জাহিদুল ইসলাম।

উপপুলিশ কমিশনার এস এম মোস্তাইন হোসেন সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, এএসআই জাহিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গুজব চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক টপ নিউজ বিক্ষোভ মৃত্যুর গুজব


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর