খালেদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় আজ
৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৮:০১
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় আজ।
বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) পুরান ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের পর খালেদা জিয়া হলেন বাংলাদেশের দ্বিতীয় সরকার প্রধান,যার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতি মামলার রায় হচ্ছে।
গত ২৫ জানুয়ারি দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আলোচিত এ মামলার রায়ের জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দিন ঠিক করে দেন আদালত।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল সারাবাংলাকে বলেন, ১০ বছর ধরে মামলাটি চলছে। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে ২৩৬ কার্যদিবসের শুনানি করেছি। আদালতে ৩২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে। আশা করছি সর্বোচ্চ সাজা পাবে আসামীরা।
অন্যদিকে,আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, মামলাটি প্রমাণ করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। খালেদা জিয়ার সাজা হবে না। তিনি বেকসুর খালাস পাবেন বলেই আমরা আশা করছি।
এই দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ ছয়জন আসামি। বাকী পাচঁ আসামি হলেন-খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান। যিনি মুদ্রা পাচারের দায়ে সাত বছর কারাদণ্ডেররায় মাথায় নিয়ে দেশের বাইরে পালিয়ে আছেন। মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ কারাগারে আছেন।
এছাড়া সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামালউদ্দিন সিদ্দিকী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতিজিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানও এ মামলার আসামি। তারা শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন।
আলোচিত এ মামলায় দুদক ও আসামিপক্ষ মোট ১৬ কার্যদিবস যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। মোট ২৩৬ কার্যদিবস শুনানির পর মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের জন্য বিদেশ থেকে আসা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা দায়ের করে দুদক।
মামলার তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট অভিযোগপত্র দেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।
অভিযোগে বলা হয়, এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করেছেন এ মামলার আসামিরা।
এরপর দীর্ঘ বিরতি দিয়ে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার তৃতীয় বিশেষজজ আদালত খালেদাসহ ছয়আসামির বিরুদ্ধে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪০৯ এবং দুদক আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ গঠন করেবিচার শুরু করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য ও জেরা শেষেখালেদা জিয়া এ মামলায় আত্মপক্ষসমর্থন করে ছয় দিন বক্তব্য দেন।
পরে ১৯ ডিসেম্বর জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যুক্তি উপস্থাপনশুরু হলে প্রথম দিন দুদকের পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল যুক্তি উপস্থাপন করেন। এরপর দশ কার্যদিবসে খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন তার আইনজীবীরা।
অনাস্থার কারণে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তিনবার এ মামলার বিচারক বদল হয়। আসামিপক্ষ ২৫ বার মামলাটি চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যায়।
সারাবাংলা/এজেডকে/জেএফ
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আদ্যপান্ত!