Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সেমন্তি আত্মহত্যা: সাইবারে ২ যুবকের বিরুদ্ধে বাবার মামলা


২২ আগস্ট ২০১৯ ০১:৫৭

ঢাকা: বগুড়ার দশম শ্রেণীর স্কুলছাত্রী মায়িশা ফাহমিদা সেমন্তির (১৪) আত্মহত্যার ঘটনায় দুই যুবকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বাবা হাসানুল মাসফের রুমন মামলা করেছেন।

বুধবার (২১ আগস্ট) বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন আদালতে তিনি এ মামলা করেন। এরপর বিচারক বগুড়া সিআইডিকে আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, বগুড়া জেলার সদর থানা এলাকার তৌহিদুল ইসলামের ছেলে আবির আহমেদ এবং একই এলাকার জিল্লুর রহমানের ছেলে শাহরিয়ার অন্তু। আসামিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নগ্ন ছবি ছেড়ে দেয়ার কারণে সেমন্তি আত্মহত্যা করেছেন মর্মে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ১৮ জুন রাতে আসামি আবির আহমেদ বাদীর মোবাইল ফোনে জানায়, সেমন্তি আত্মহত্যা করতে পারেন। বাদী তাৎক্ষণিক তার মেয়েকে জিজ্ঞাসা করেলে সে জানায়, আবিরের সঙ্গে তার ভালবাসার সম্পর্ক ছিল। তার কুপরামর্শে সে (সেমন্তি) মোবাইলে কিছু নগ্ন ছবি তোলে। যা সেমন্তির মোবাইল থেকে আবির তার মোবাইলে নিয়ে নেয়। যার মধ্যে একটি ছবি শাহরিয়ার অন্তুর নিকট আবির পাঠায়। পরে দুইজন মিলে ছবিগুলো ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। বাদী ঘটনা শুনে মেয়েকে সান্তনা দিলেও ওইদিন রাতের যে কোন এক সময় সেমন্তি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, ঘটনার রাতে আবির ও অন্তু সেমন্তির সঙ্গে ৯১ বার মোবাইল ফোনে কথা বলেন। যা প্রমাণ করে আসামিরা ভিকটিমকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেন।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া সেমন্তি মারা যাওয়ার পর আসামি আবির গত ২১ জুন রাতে মামলার দুই নম্বর সাক্ষী জান্নাতুল ফেরদৌসের কাছে ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে সেমন্তির নগ্ন ছবি পাঠায়। সেমন্তির নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে তার এবং পরিবারের সম্মান ক্ষুন্ন করা হয়। আসামিদ্বয় সেমন্তির মানসম্মানক্ষুন্ন ও মানসিকভাবে বিপর্যস্থ করে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। মামলাটিতে ‍তিন জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

সারাবাংলা/এআই/টিএস

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

সিনিয়র সাংবাদিক বদিউল আলম আর নেই
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩১

সম্পর্কিত খবর