Saturday 07 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঘুমধুম ট্রানজিট দিয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রস্তুত বাংলাদেশ


২২ আগস্ট ২০১৯ ১১:২২ | আপডেট: ২২ আগস্ট ২০১৯ ১৬:১১
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কক্সবাজার: রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে প্রস্তুত বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) স্বেচ্ছায় যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের জন্য যানবাহন ও নিরাপত্তাসহ সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ট্রানজিট পয়েন্ট দিয়ে তাদের প্রত্যাবাসন করা হবে। প্রত্যাবাসন স্বচক্ষে পর্যবেক্ষণের জন্য মিয়ানমার দূতাবাসের এক কর্মকর্তা ও চীনা দূতাবাসের দুই কর্মকর্তা কক্সবাজারে অবস্থান করছেন।

শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, মিয়ানমার সরকার ৩ হাজার ৪শ ৫০ রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণায় অনেকটা তড়িঘড়ি করেই প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। গত ২০ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার মাধ্যমে প্রত্যাবাসনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করে শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞাপন

এ সময় জাতিসংঘ শরণার্থী হাই কমিশনের কর্মকর্তারা প্রথম তালিকায় থাকা রোহিঙ্গাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের মিয়ানমার সরকারের ফিরিয়ে নেওয়ার বার্তা পৌঁছে দেয়। পরে তাদের সংশ্লিষ্ট সিআইসি অফিসে নিয়ে এসে সাক্ষাৎকার বা মতামত নেওয়া হয়। গত দুই দিনে টেকনাফের ৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রত্যাবাসনের তালিকায় থাকা ২শ ৩৫টি পরিবারের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।

তবে রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসনে নানা দাবি জুড়ে দিচ্ছে। তাদের দাবি পূরণ না হলে মিয়ানমারে ফিরে যাবে না বলে জানান এসব রোহিঙ্গারা। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম জানান, টেকনাফের নয়াপাড়া, জাদিমুরা ও শাল বাগান ক্যাম্প থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ট্রানজিট পয়েন্ট পর্যন্ত প্রত্যাবাসনের জন্য যানবাহন ও নিরাপত্তাসহ সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসম্মতি বা সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য ইউএনএইচসিআর এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৮টি দল কাজ করছে। প্রত্যাবাসনের তালিকায় থাকা ৩ হাজার ৪শ ৫০ রোহিঙ্গা পরিবারের সাক্ষাৎকার পর্ব চলমান থাকবে। গতবছরের ১৫ নভেম্বর প্রথমদফায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হলেও রোহিঙ্গাদের অনিচ্ছার কারণে তা করা যায়নি।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের ৩০টি নিরাপত্তা চৌকিতে একযোগে হামলার ঘটনা ঘটে। প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন শুরু করে। ফলে প্রাণ বাঁচাতে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। পুরনোসহ উখিয়া-টেকনাফের ৩২টি ক্যাম্পে এখন ১১ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রস্তুত বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের ঘুমধুম ট্রানজিট দিয়ে প্রত্যাবাসন করা হবে