দীপন হত্যা: ৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ শুনানি ৫ সেপ্টেম্বর
২২ আগস্ট ২০১৯ ১৩:৩০
ঢাকা: জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় চার্জ শুনানির জন্য আগামী ৫ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) চার্জ গঠন শুনানি দিন ধার্য ছিলো। কিন্তু এদিন রাষ্ট্রপক্ষ চার্জগঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফারহানা ফেরদৌস নতুন করে এ দিন ঠিক করেন।
চলতি বছরের ৩০ জুন মামলার পলাতক দুই আসামি বরখাস্তকৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ১৯ মার্চ আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করে পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। গত ১৮ ডিসেম্বর সিএমএম আদালতে এ চার্জশিট উপস্থাপন করা হয়। এর আগে, ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর একই আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফজলুর রহমান এ চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক শাখার প্রধান ও বরখাস্ত হওয়া মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে স্বাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ।
আসামিদের মধ্যে জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন পলাতক। চার্জশিটে তদন্তকারী কর্মকর্তা ১১ আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়। এরা হলেন আরাফাত রহমান, সেলিম ওরফে হাদী, আলম, আকাশ, তৈয়ব, জনি, আসাদ, হাসান, তালহা, শরিফুল ও তারেক।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর দুপুরের পর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একইদিন কাছাকাছি সময়ে লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর কার্যালয়ে ঢুকে এর স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ টুটুল, লেখক সুদীপ কুমার ওরফে রণদীপম বসু ও প্রকৌশলী আবদুর রহমানকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে।
চার্জশিটে বলা হয়, দীপনকে হত্যার নির্দেশদাতা, মূল পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে ছিলেন পলাতক সৈয়দ জিয়াউল হক। আসামি খাইরুল, আবদুস সবুর ও মইনুলকে হত্যা মিশনে যাওয়ার আগে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।