২১ বছর পর হবিগঞ্জে ৩ হত্যার রায়, ৪ জনের যাবজ্জীবন
২২ আগস্ট ২০১৯ ১৬:২০
হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গের পুরান পাথারিয়া গ্রামে দুপক্ষের সংঘর্ষে আলোচিত ৩ হত্যাকাণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছে ২১ বছর পর। রায়ে ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আসামিদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এসএম নাসিম রেজার আদালত এই রায় দেন। কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. আল আমিন হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হল, পুরান পাথারিয়া গ্রামের হাজী ইসমাইলের ছেলে করম আলী, মৃত হেলিম উল্লার ছেলে আলী মোহাম্মদ, আব্দুল হাশিমের ছেলে সুরুজ আলী ও মৃত সঞ্জব আলীর ছেলে তুরাব আলী। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ৪ আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর পাথারিয়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাহেদ আলী ও আলী আহম্মদের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে শাহেদ আলীর পক্ষের সামছুল হক, আফিল উদ্দিন এবং আলী আহমদ পক্ষের নূর মোহাম্মদ নিহত হয়। এছাড়াও উভয় পক্ষের অন্তত শতাধিক লোক আহত হয়।
নূর মোহাম্মদ খুনের ঘটনায় তার ভাই আলী আহম্মদ বাদী হয়ে পর দিন বানিয়াচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে এ ঘটনায় ১৯৯৯ সালের ১১ আগস্ট অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়। মামলায় ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত করম আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
এদিকে, অপরপক্ষে নিহত দু’জনের আত্মীয় আতিকুন্নেছা ঘটনার পর দিন বাদী হয়ে ৬২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামি আলী মোহাম্মদ, সুরুজ আলী ও তুরাব আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। অন্যান্য আসামিদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
এই মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী হিসবে ছিলেন এডভোকেট সালেহ আহমেদ।