‘পুরস্কার নয়, কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য চাই’
২২ আগস্ট ২০১৯ ২১:৫৯
ঢাকা: ‘পুরস্কার নয়, কৃষিপণ্যের ন্যায্য মূল্য চাই’- এমন মন্তব্য করেছেন কৃষিক্ষেত্রে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক পাওয়া কৃষাণী নুরুন্নাহার।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষি তথ্য সার্ভিস মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কারপ্রাপ্তদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে কৃষিক্ষেত্রে অবদানের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
পুরস্কার পাওয়ার পর নিজের অনুভূমি ব্যক্ত করতে গিয়ে নারী উদ্যোক্তা নুরুন্নাহার বলেন, ‘কৃষি ক্ষেত্রে অবদান রাখায় এত পুরস্কার পেয়েছি যে, আমার দুইটি আলমাড়ি ভরে গেছে। এত পুরস্কার দিয়ে কী করব? যদি উৎপাদিত পণ্য ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে না পারি তাহলে কি হবে? আমার স্বামী অবজ্ঞা করেন। পুরস্কার দিয়ে কী হবে? এই যে পুরস্কার ও ক্রেস্ট পাচ্ছি এগুলো রাখার জায়গাও নেই। ’
ঈশ্বরদী উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের বক্তারপুর গ্রামের নুরুন্নাহার একজন সমাজ উন্নয়ন কর্মী ও নারী উদ্যোক্তা। তিনি নিবিড় সবজি, ফলমূল, পোল্ট্রি ও গাভির খামার করে এলাকার নারীদের কৃষি কাজে উদ্বুদ্ধ করেছেন। ২০১০ সালে সিটি গ্রুপ জাতীয় পুরস্কারও পান তিনি।
নুরুন্নাহার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি স্বর্ণপদক পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছি। দুইটি আলমারি ভরে গেছে পুরস্কারে। কিন্তু কী লাভ হচ্ছে। এবার খুব ভাল মানের আখ উৎপাদন হয়েছে। কিন্তু বেচতে পারছি না। আমার স্বামী বলছে আখ শুকিয়ে লাকড়ি বানাতে। আমি তাকে বুঝিয়েছি, এগুলো বীজ করব। আগামীতে ২০ বিঘা জমিতে আখ চাষ করব। আমরা উৎপাদন করছি। কিন্তু এর দাম না পেলে আমরা কোথায় যাব?
তিনি আরও বলেন, ‘দুই হাজার মন ধান পেয়েছি। এখনও ২০০ বস্তা চাল আছে। ’কৃষিমন্ত্রীর উদ্দেশে নুরুন্নাহার বলেন, ‘আর পুরস্কার না, এবার কৃষিপণ্য বিপণনের ব্যবস্থা করে দিন । কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করুন৷ বাজার মনিটরিং করুন। আমরা সঙ্গে কাজ করে ১২শ নারী উদ্যোক্তা; তারাসহ সারাদেশের কৃষকরা যাতে পণ্যের ন্যয্য মূল্য পায় তার ব্যবস্থা করুন।’
কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. মো নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুর রহমান, কৃষি তথ্য সার্ভিসের উপপরিচালক রেজাউল করিম প্রমুখ।