Thursday 31 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পাহাড়পুরে দর্শনার্থীর পাশাপাশি বাড়ছে রাজস্বও


২৩ আগস্ট ২০১৯ ০৮:০০
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নওগাঁ: নওগাঁ শহর থেকে প্রায় ৩৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ বৌদ্ধবিহার ঐতিহাসিক পাহাড়পুর। এখানে দর্শনার্থীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে নতুন করে গড়ে তোলা হয়েছে নানান অবকাঠামো। আর ঈদ উপলক্ষে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। তাই উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে বিহারটিতে।

ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে প্রায় সারা বছরই দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটে এখানে। ‍কিন্তু ঈদ উপলক্ষে এবার দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়ার মতো; যা দেখা যাবে আরও এক সপ্তাহ।

প্রতিবারের মতো এবারও দূর-দুরান্ত থেকে অনেক দর্শনার্থীরা এসেছেন পাহাড়পুরের ঐতিহাসিক মনোরম দৃশ্য দেখতে। এদিকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তা বাড়ানোয় খুশিও তারা।

বিজ্ঞাপন

এক দর্শনার্থী বলেন, ‘ঈদের পর পরই ধর্মপালের ঐতিহাসিক এই পাহাড় দেখতে এসে ভালো লাগছে। আমরা স্বপরিবারে এখানে এসেছি। এই বৌদ্ধবিহার দেখে আমরা মুগ্ধ।’

এছাড়া পাহাড়পুরে জাদুঘরসহ অনেক কিছু দেখছে শিশুরা; তারা এসেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। ঘুরতে আসা এক শিশু জানায়, পাহাড়পুরের জাদুঘর তাকে মুগ্ধ করেছে। এখানকার পুঁথি ও খনন করে পাওয়া পোড়ামাটির ফলক দেখে সে মুগ্ধ হয়েছে। এছাড়া তার কাছে আশ্চর্য লেগেছে যে, পাথর দিয়ে কি সুন্দর করে নকশা করা হয়েছে।

গত বছরের তুলনায় এবার বৌদ্ধবিহারে দর্শনার্থীদের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে রাজস্বও। সেই সাথে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে জানান বৌদ্ধবিহারের সরকারী পরিচালক সাদেকুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘এখানে দর্শনার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে রাজস্বও বাড়ছে। পাহাড়পুরে পর্যটন পুলিশ ও স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিনই দর্শক সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এভাবে দর্শনার্থী বৃদ্ধি পেলে রাজস্ব আয় কয়েক বছরের মধ্যে রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।’

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার অবস্থিত। এটি সোমপুর বিহার নামেও পরিচিত। বিহারটি পাল রাজা ধর্মপাল ৭ম শতকে নির্মাণ করেন। এই বিহারটিতে মন্দির ও স্তুপ পরিবেষ্টিত বিহারসহ বৌদ্ধ স্থাপনার বেশকিছু নিদর্শন রয়েছে। এছাড়া বিহার থেকে অল্প দূরত্বে সত্যপীরের ভিটা ও পাহাড়পুর জাদুঘর রয়েছে। পোড়ামাটি শিল্পের ফলকসহ স্থাপত্যশৈলীর এক অনন্য নিদর্শন এই বৌদ্ধ বিহারটি।

উল্লেখ্য, ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম বিশাল এই স্থাপনাটি আবিষ্কার করেন। ঐতিহাসিক এই বিহারের সব স্থাপানাই পোড়া ইট ও কাদামাটির তৈরি। ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর