‘২০২২ সালের মধ্যে বিশ্বের ৫০টির মধ্যে আসবে চট্টগ্রাম বন্দর’
২৩ আগস্ট ২০১৯ ০৮:৪০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: গভীর সমুদ্র থেকে খনিজ মেশানো মাটি-বালি ও মাছ আহরণের জন্য মাইনিং ও ফিশ হারবার পোর্ট নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ। ২০২২ সালে বিশ্বের বন্দরগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর ৫০তম স্থানের মধ্যে চলে আসবে বলে আশাবাদের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর ভবনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় চেয়ারম্যান এই পরিকল্পনার কথা জানান।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ‘সরকার ব্লু ইকোনমির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। গভীর সমুদ্রে থাকা আমাদের বিশাল সম্পদ আহরণ করতে হবে। সমুদ্রের গভীরে থাকা মূল্যবান মিনারেল মিশ্রিত মাটি-বালি উপকূলে এনে সেমি-প্রসেস করা দরকার। এজন্য মাইনিং পোর্ট প্রয়োজন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাইনিং পোর্ট আছে। আমরাও পরিকল্পনা করছি। সাগরে টোনা মাছ আছে, বিদেশে যেগুলোর অনেক চাহিদা। মাছের জন্য ফিশ হারবার পোর্ট দরকার। এই হারবারে থাকা প্রক্রিয়াজাত কারখানা থেকে মাছ সরাসরি বিদেশে রফতানি করা যাবে।’
বন্দর চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের বন্দরের তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ৬ ধাপ এগিয়ে এসেছে। গত বছর যেখানে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল ৭০, এ বছর তা ৬৪তে উন্নীত হয়েছে। ২০২২ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্বের শীর্ষ বন্দরের তালিকার ৫০-এর মধ্যে পৌঁছাবে। কারণ বন্দরের ইয়ার্ড ও টার্মিনাল সম্প্রসারণের ফলে কনটেইনার হ্যান্ডলিং ক্ষমতা ৩১ লাখে উন্নীত হবে।’
সভায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, সিনিয়র সহসভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা, সহসভাপতি মনজুর কাদের মনজু, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রূপম চক্রবর্তী, ক্রীড়া সম্পাদক দেবাশীষ বড়ুয়া দেবু, গ্রন্থাগার সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক মো. আইয়ুব আলী, কার্যকরী সদস্য স ম ইব্রাহী ও কাজী আবুল মনসুর এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, সদস্য (ফিন্যান্স) কামরুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম বন্দর ব্লু ইকোনমি মাইনিং ও ফিশ হারবার পোর্ট মাছ আহরণ মাটি-বালি আহরণ রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ