Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

১৬ ডিসেম্বরের আগে মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে


২৩ আগস্ট ২০১৯ ১৩:১৫

ঢাকা: আগামী ১৬ ডিসেম্বরের (বিজয় দিবস) আগে মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকালে মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশন আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মোজাম্মেল হক বলেন, আগামী ১৬ ডিসেম্বরের (বিজয় দিবস) আগে মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। আর চূড়ান্ত তালিকায় থাকা মুক্তিযোদ্ধারা কি কি সুবিধা পাবেন সেটা আইডি কার্ডের পেছনে দেওয়া থাকবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানাতে পাঠ্য বইতে মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাস এবং আমরা কোন নরপশুদের সাথে যুদ্ধ করেছি সেটাও থাকবে। আমাদের সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সেগুলো হচ্ছে, বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসের বোনাস, সরকারি হাসপাতালে শতভাগ চিকিৎসা ফ্রি, বিসিএস পরীক্ষায় ১০০ নম্বর থাকবে মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামীলীগ বিষয়ে, পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যেখানে যুদ্ধ করা হয়েছে সেখানে একই ডিজাইনে স্মৃতিফলক হবে, যেখানে বদ্ধভূমি আছে সেখানে অন্য এক ডিজাইনে স্মৃতিফলক হবে, সমস্ত রাস্তাঘাট, রাষ্ট্রীয় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা মুক্তিযোদ্ধাদের নামে হবে, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ২০ হাজার মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি-ঘর করতে ১৫ লাখ করে টাকা দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কতবড় সম্পদ ছিলো আমরা এখনো তা বুঝতে পারি না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিভিন্ন মিথ্যা কথা বলে এবং ইতিহাস বিকৃত করে তাকে ছোট করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। ‍খুনি জিয়া বঙ্গবন্ধুকে খাটো করার চেষ্টা করেছিলো। ইতিহাস তার জবাব দিয়েছে। খালেদা জিয়া ও তারেক এদের একটাই পরিচয় তারা বঙ্গবন্ধুর‍ খুনি।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা গুলি করে হত্যা করেছে আমরা তাদের বিচার করছি। কিন্তু যারা এটা করিয়েছে তাদের বিচার হয়নি। জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনি। কেননা খুনি না হলে আত্মস্বীকৃতি খুনি যারা ছিলো তাদেরকে বিদেশে পাঠিয়ে বড়বড় পদে পদায়ন করতেন না। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার যাতে না হয় সেজন্য একটি অধ্যাদেশ জারি করে সেই রাস্তা জিয়া বন্ধ করেছিলেন। খুনি বলেই জিয়ার মন্ত্রীসভায় শাহ-আজিজসহ যতোখুনি আছে যারা পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিলো তাদেরকে নিয়ে জিয়া মন্ত্রীসভা গঠন করেছিলেন। তাই পরিষ্কার বোঝা যায়, বঙ্গবন্ধুর হত্যায় প্রত্যক্ষভাবে জিয়া জড়িত ছিলেন। খুনিরা বলেছেন, জিয়ার সাথে তাদের কি আলোচনা হয়েছে। তা ট্রুথ কমিশন করে বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত খুনিদের বের করতে হবে এবং মরে গিয়ে থাকলেও বিশ্ববাসীর সামনে মরোনোত্তর বিচার করতে হবে। এটা আজ সময়ের দাবি। না হয় বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে না।

আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ গাজী মো দেলওয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুলসহ অনেকেই।

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর