ইয়াসমিন হত্যার দুই যুগ
২৪ আগস্ট ২০১৯ ০৭:০০
দিনাজপুর: আজ থেকে ২৪ বছর আগে ১৯৯৫ সালের এই দিনের সকালে দিনাজপুরে মায়ের কাছে যাওয়ার উদ্দেশে কিশোরী ইয়াসমিন উঠে বসেছিল পুলিশের ভ্যানে। কিন্তু দিনাজপুর আর যাওয়া হয়নি তার। তার আগেই পুলিশের তিন সদস্যের নির্মমতার শিকার হয় সে। ধর্ষণের পর চলন্ত পিক আপ থেকে ছুঁড়ে ফেলা হয় ইয়াসমিনকে। সেখানেই মৃত্যু হয় তার।
আজ শনিবার (২৪ আগস্ট) ইয়াসমিন ট্রাজেডি দিবস।
ইয়াসমিনের মৃত্যুর ঘটনা জানাজানি হলে উত্তাল হয়ে ওঠে দিনাজপুর। পুলিশি হেফাজতে ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে আইন-শৃংখলা বাহিনীর গুলিতে নিহত হন সামু, সিরাজ ও কাদের। আহত হয় শতাধিক মানুষ। আন্দোলনের জের ধরে দিনাজপুর কোতয়ালী থানা, তিনটি পুলিশ ফাঁড়ি, কাস্টমস গোডাউন, চারটি পত্রিকা অফিসসহ বেশ কিছু স্থাপনা ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
আন্দোলনের এক পর্যায়ে দিনাজপুর থেকে নিরাপত্তাজনিত কারণে ইয়াসমিন হত্যা মামলা স্থানান্তর করা হয় রংপুরে। রংপুর বিশেষ আদালতে ইয়াসমিন হত্যা মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ১৯৯৭ সালে দোষী প্রমাণিত তিন পুলিশ সদস্যে মইনুল হক, আব্দুস সাত্তার ও অমৃত লাল বর্মণকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার আট বছর পর ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কার্যকর হয় ফাঁসিও।
ইয়াসমিন হত্যার পরের বছর থেকে ২৪ আগস্ট নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে বিভিন্ন সংগঠন।
ইয়াসমিনের স্মরণে দিনাজপুরের দশ মাইল এলাকায় তৈরি করা হয়েছে ইয়াসমিন সরণী। দিবসটি পালনে ইয়াসমিনের পরিবার এবং বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান দিনব্যাপী দোয়া মাহফিল, কবর জিয়ারত ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।