ফেনী: ফেনীর আলোচিত মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আজ রোববার ৩৬ তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। এর আগে গত ২১ আগস্ট (বুধবার) ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশীদের আদালতে এই মামলার সর্বশেষ ৯২ নম্বর সাক্ষী ও তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের ফেনী শাখার পরিদর্শক মো. শাহ আলম আংশিক সাক্ষ্য দেন।
তবে সেদিন তার সাক্ষ্য উপস্থাপন শেষ হয়নি। তার জবানবন্দি শেষে নুসরাত হত্যা মামলার আসামিদের সম্পৃক্ততার অডিও ও নুসরাতের দেওয়া জবানবন্দির ভিডিও আদালতে বিচারকের সামনে বেশ করবেন বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করবেন।
মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু জানান, নুসরাত হত্যা মামলার সাক্ষ্য কার্যক্রম একদম শেষের দিকে। এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষি অভিযোগপত্র প্রদানকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের ফেনী শাখার পরিদর্শক মো. শাহ আলমের সাক্ষ্য শেষে যুক্তিতর্ক শুরু হবে। এ মামলার ৯২ জন সাক্ষির মধ্যে এখন পর্যন্ত ৯১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলার এজহারে ৯২ জন সাক্ষী অন্তর্ভূক্ত করা হয়। ইতোমধ্যে ৯২ জনকে সাক্ষির জন্য আদালতে ডাকা হলে ৫ জন আদালতে স্বশরীরে উপস্থিত না হলেও তারা ডকুমেন্টারি সাক্ষী হওয়ার কারণে আদালতে উপস্থিত না হলেও তারা সাক্ষী হিসেবে গণ্য হবেন। কারণ তাদের পক্ষে আদালতে কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৭ জুন মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। নুসরাতের ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান, নুসরাতের মা শিরিন আখতার ও বাবা মাওলানা একেএম মুসাসহ ৮৬ জনের সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়।
চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ১০ এপ্রিল মারা যান নুসরাত জাহান রাফি।