দুটি ঘটনায় পারস্পারিক সম্পর্কের অবনতি হয়েছে: কাদের
২৫ আগস্ট ২০১৯ ১৬:২৩
ঢাকা: ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার পর দেশের রাজনীতিতে অভেদ্য দেয়াল গড়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘দুটি ঘটনায় রাজনীতিতে পারস্পরিক সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। এখন একদল আরেকদলের সামাজিক অনুষ্ঠানে পর্যন্ত যেতে বাধা পায়। জন্ম-মৃত্যুতেও যেতে পারেনা ‘
রোববার (২৫ আগস্ট) নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, হত্যাকারীদের যে সহযোগিতা করেছে আর যে পৃষ্ঠপোষকতা করছে উভয়ই সমান অপরাধী। তাদের রক্ষা করার জন্য সংবিধানে পর্যন্ত আইন করা হয়েছে। সেই ইতিহাস আমরা কি করে ভুলে যাব।
‘আমি জানি আপনি আমার পিতার হত্যাকারীদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। ১৫ আগস্ট খুনিদের পেছনে আপনিও ছিলেন একজন। আমি জানি আপনি আমার পিতার হত্যাকারীদের রক্ষা করার জন্য সংবিধানের আইন প্রণয়ন করেছিলেন। এটা যখন জানি তখন আপনার সঙ্গে আমার কীভাবে কর্মের সম্পর্ক তৈরি হবে’। বলেন ওবায়দুল কাদের।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে অলঙ্ঘনীয় দেওয়াল সৃষ্টি করা হয়েছিল সেই দেওয়াল আরো উঁচু হয়েছে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করার মাধ্যমে। এরপরও কর্ম-সম্পর্ক সৃষ্টিতে শেখ হাসিনা উদারতা কি কম দেখিয়েছেন? এমন প্রশ্ন রাখেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৫ই আগস্টের খুনিরা যদি পুরস্কৃত না হতো তাহলে জেনারেল জিয়াকেও আর একটি খুনি চক্র খুন করার দুঃসাহস পেত বলে আমার মনে হয় না।
‘খুনিদের পুরস্কৃত করলেন , পুনর্বাসিত করলেন । বিচারের পথ রুদ্ধ করার জন্য আইন প্রণয়ন করলেন। হত্যা-হত্যা কে ডেকে আনে। যে বুলেট শেখ হাসিনা শেখ রেহানাকে এতিম করেছে। সেই একই বুলেট খালেদা জিয়াকে বিধবা করেছে। পরিণতি কারো জন্য ভালো নয়। এই হত্যাকাণ্ডের রাজনীতির পরিণতি সবার জন্য খারাপ।’ যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
এ সময় শোক দিবসের আলোচনায় আরো বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান বেনজীর আহমেদসহ অনেকেই।