জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রামের মহেশখাল থেকে ৮১ স্থাপনা উচ্ছেদ
২৫ আগস্ট ২০১৯ ২০:২০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর বৃষ্টির পানি কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশনের অন্যতম মাধ্যম মহেশখাল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। প্রথমদিনে এই খাল দখল করে গড়ে তোলা ৮১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
রোববার (২৫ আগস্ট) দিনভর চলা এই উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) স্পেশাল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল আলম চৌধুরী। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় সিডিএ’র তত্তাবধানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ধারাবাহিক এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে।
জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী আহমদ মঈনুদ্দিন জানান, নগরীর মহেশখালের ওপর থেকে উচ্ছেদ করা ৮১টি অবৈধ স্থাপনার মধ্যে ১৪টি পাকা, ১৮টি সেমিপাকা, টিনশেড ৩২টি, কাঁচা ঘর ১১টি এবং ৬টি সীমানা দেওয়াল। উচ্ছেদ অভিযান আরও চলবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার একটি প্রকল্প ২০১৭ সালে একনেকে পাশ হয়। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) তত্ত্বাবেধানে সেনাবাহিনীর সহায়তা নিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদকাল ধরা হয়। ২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল থেকে খালের আবর্জনা অপসারণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রকল্পের কার্যক্রম।
এরপর প্রকল্পের আওতায় ৩৬টি খাল খনন ও সংস্কার কাজে নেমেছে সিডিএ ও সেনাবাহিনী। তিন পর্যায়ে খালগুলো খনন ও সংস্কার করা হচ্ছে। প্রথম দফায় গুরুত্ব অনুযায়ী ১৩টি খাল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১০টি এবং শেষ পর্যায়ে বাকি খালগুলো থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।