ফেনীর নুসরাতের ঘটনায় এডিএম এনামুলের ‘অবহেলা নেই’
২৬ আগস্ট ২০১৯ ১৪:০৫
ঢাকা: ফেনীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন হয়রানির ঘটনায় তৎকালীন গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান এবং ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পি কে এনামুল করিমের ‘নিষ্ক্রিয়তা বা অবহেলা’র কথা বর্ণনা করে যে সংবাদ প্রচার হয়েছে তার ‘সত্যতা পাওয়া যায়নি’ বলে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে জনপ্রশাসন সচিবের করা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রতিবেদনের মতামত অংশে বলা হয়, নুসরাতের মায়ের দায়ের করা মামলায় একমাত্র আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ জেল হাজতে থাকায় মামলার বিষয়ে তার সরাসরি কিছু করার নেই মর্মে এডিএম পি কে এনামুল করিম যে বক্তব্য দিয়েছেন তা আইনসংগত। তবে উভয়পক্ষের বক্তব্যের মধ্যে কিছু বৈপরিত্য রয়েছে। পরবর্তী ঘটনার আকস্মিকতা ও পারস্পারিকতায় ফেনীর জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামানের দেওয়া লিখিত বক্তব্যে উল্লেখিত ‘এডিএম পিকে এনামুল করিম এর নিষ্ক্রিয়তা বা অবহেলার কথা বর্ণনা করে কিছু কিছু মিডিয়ায় যে সংবাদ প্রচার হয়েছে তার সত্যতা পাওয়া যায়নি’ মর্মে দেওয়া বক্তব্যটি প্রণিধানযোগ্য ও যৌক্তিক মর্মে প্রতীয়মান হয়।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ১৫ জুলাই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের ঘটনায় তৎকালীন গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান এবং ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পি কে এনামুল করিমের ভূমিকা ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
আদালতের সেই আদেশ অনুযায়ী এ প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। পিকে এনামুল করিমের নিষ্ক্রিয়তার বিষয়ে তদন্ত করেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) হাবিবুর রহমান
উল্লেখ্য, গত ২১ জুন দৈনিক সমকাল পত্রিকায় ‘এডিএম এনামুলের ভূমিকা, পুলিশের তদন্তের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন মন্ত্রণালয়ের’ শীর্ষক প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।