Wednesday 11 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিএসইসি চেয়ারম্যানের দায়মুক্তির খবরে পুঁজিবাজারে বড় দরপতন


২৬ আগস্ট ২০১৯ ১৭:৫২

ঢাকা: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন দুদক থেকে দায়মুক্তি পেয়েছেন, এমন খবরে বাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। বিএসইসির চেয়ারম্যান পুঁজিবাজার থেকে অর্থ আত্মসাত করে বিদেশে পাচার করেছেন, এমন অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিন্তু সোমবার পুঁজিবাজারে খবর ছড়িয়ে পড়ে বিএসইসির চেয়ারম্যানকে দুদক দায়মুক্তি দিচ্ছেন। বিনিয়োগকারীদের মাঝে এমন খবরে ছড়িয়ে পড়লে দিনশেষে বাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়।

এ ব্যাপারে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, বিএসইসির চেয়ারম্যানসহ বর্তমান কমিশনের ওপর বিনিয়োগকারীদের কোনো আস্থা নেই। এই কমিশন ২০১১ সাল থেকে যত আইপিও অনুমোদন করেছে তার বেশির ভাগই বর্তমানে অফারিং প্রাইসের নীচে নেমে এসেছে। এই সব আইপিও‘র শেয়ারে বিনিয়োগ করে বিনিযোগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীরা মনে করেন, এই চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে বাজার ভালো হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই তার দুর্নীতি ও বিদেশে অর্থপাচার বিষয়ে দুদক অনুসন্ধান করছে, এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে পুঁজিবাজার স্বাভাবিক হতে শুরু করে। কিন্তু মাত্র এক সপ্তাহের অনুসন্ধানে দুদক তাকে দায়মুক্তি দিয়েছেন। এমন খবর সোমবার (২৬ আগস্ট) পুঁজিবাজারে ছড়িয়ে পড়লে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা নেমে আসে। দিনশেষে বাজারে বড় দরপতন হয়েছে।

বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সমৃদ্ধ জাতীয় পরিষদের সভাপতি আনম আতাউল্লাহ নাঈম সারাবাংলাকে বলেন, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যানের অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করছে দুদক। বিনিয়োগকারীরা এ দিকে নজর রাখছিল। কিন্তু খবর ছড়িয়ে পড়ে বিএসইসির চেয়ারম্যানকে দুদক থেকে দায়মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। এই খবরে বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়ে পড়েন। ফলে বাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করলেও তিনি পুঁজিবাজারের জন্য কোনো সুফল আনতে পারেননি। ফলে তিনি বিনিয়োগকারীদের আস্থা হারিয়েছেন।

এদিকে সোমবার (২৬ আগষ্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৫৩ টি কোম্পানির ১৩ কোটি ১৫ লাখ ৫৩ হাজার ৭২৯টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫ টির, কমেছে ২৭৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টি কোম্পানির শেয়ার। এদিন ডিএসইতে ৪৪৭ কোটি ১৬ লাখ ১৪ হাজার টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৫৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১৬৫ পয়েন্ট, ডিএসইএক্স-৩০ মূল্য সূচক ২২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮১৯ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৯৩ পয়েন্টে নেমে আসে।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৪৭টি কোম্পানির ৯৯ লাখ ৪০ হাজার ৯৭৯টি শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৩৭টির কমেছে ১৮৪টির এবং ২৬টির দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৭৬ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৮০১ পয়েন্টে নেমে আসে। দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১১২ কোটি ৩ লাখ টাকা।

ডিএসইএক্স পুঁজিবাজারে দরপতন শেয়ারবাজার


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর