অর্ডিন্যান্স পরিবর্তন চান চবি ফরেস্ট্রি ইনস্টটিউটের শিক্ষার্থীরা
২৬ আগস্ট ২০১৯ ১৭:৩২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের শিক্ষার্থীরা অর্ডিন্যান্স পরিবর্তনসহ ছয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ ও ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করেছেন।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ফরেস্ট্রি ইনস্টিটিউটের একাডেমিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি হলো— বর্তমানে ছাত্রত্ব বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাখ্যা করতে হবে ও সব শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেটপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে; অর্ডিন্যান্স পরিবর্তন করে ক্রেডিট লস সিস্টেম চালু করতে হবে; ৯০ দিনের মধ্যে পরীক্ষার ফল দিতে হবে; সেমিস্টার ফাইনাল শুরুর আগে সব ধরনের টিউটোরিয়াল ও প্র্যাকটিক্যাল শেষ করতে হবে; শিক্ষকদের ক্লাস রুটিন অনুসরণ করে যথাসময়ে ক্লাস নিতে হবে এবং রানিং মাস্টার্স চালু করতে হবে।
আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষার্থী সারাবাংলাকে বলেন, আমাদের অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী ক্রেডিট লস সিস্টেম নেই। এক কোর্সে দুইবার ফেল করলে ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে যায়। ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষার সিস্টেম নেই। ইনস্টিটিউটের অর্ডিন্যান্স শিক্ষকরা নিজেদের ইচ্ছামতো তৈরি করেছেন। আমরা এই অর্ডিন্যান্স মানি না। অর্ডিন্যান্স পরিবর্তন করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, আন্দোলনের আগে তারা বিভিন্ন সময় অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে তাদের দাবিতে কর্ণপাত করেনি কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে আজ সোমবার (২৬ আগস্ট) পঞ্চম ও তৃতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে। এছাড়া পঞ্চম ও তৃতীয় সেমিস্টারে ছাত্রত্বহীন শিক্ষার্থীর সংখ্যা পাঁচ জন হলেও প্রশাসন একজনকে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। বাকি চার জনকে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাই দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরেস্ট্রি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. দানেশ মিয়া সারাবাংলাকে বলেন, অর্ডিন্যান্স পরিবর্তন করা, ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেওয়া— এগুলো তো একদিনে সম্ভব না। আমরা বলছি, চেষ্টা করব। একাডেমিক কমিটির যতটুকু ক্ষমতা, সে অনুযায়ী আমরা চেষ্টা করছি। বাকি যতটুকু, তার ক্ষমতা আমাদের হাতে নেই, এর জন্য উপাচার্যের কাছে যেতে হবে। তারপরও ছাত্ররা মানছে না।
পরিচালক জানান, বিশেষ পরীক্ষার্থীদের পাস করার পর নিয়মিত ক্লাসে ফিরতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রণব মিত্র চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের যে দাবি-দাওয়া আছে, সেগুলো বিবেচনা করা হবে।
অর্ডিন্যান্স পরিবর্তন ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চবি ছয় দাবি