Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মেজর জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলার প্রতিবেদন ২ অক্টোবর


২৭ আগস্ট ২০১৯ ০৫:৩০

ঢাকা: মেজর জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে রাষ্ট্রপক্ষের সময় বাড়ানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোমবার (২৬ আগস্ট) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন নির্ধারিত ছিল। তবে এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুতুবুর রহমান সময়ের আবেদন জানালে বিচারক এ সময় তা মঞ্জুর করেছেন।

পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত (অস্থায়ী) ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শরীফ এ এম রেজা জাকের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে এ নতুন তারিখ ঠিক করেন।

এদিন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যু বিষয়টি আদালত অবহিত করেন। এরপর আদালত পুলিশকে এ বিষয়ে রিপোর্ট দাখিলের জন্য আদেশ দেন।

গত ২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সিআইডিকে অধিকতর তদন্ত করে ২২ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেলেন আদালতটির তৎকালীন বিচারক খন্দকার হাসান মো. ফিরোজ।

এই ঘটনার আসামিরা হলেন- সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক ও লে. কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া।

১৯৮১ সালের ১ জুন মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পর জেনারেল মঞ্জুরের বড় ভাই ব্যারিস্টার আবুল মনসুর আহমেদ বাদী হয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।

১৯৯৫ সালে ১৫ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহহার আকন্দ। এর আগে ১ মার্চ আসামি এমদাদুল হক, ১২ মার্চ মোহাম্মদ আবদুল লতিফ ও শামসুর রহমান এবং ১৮ জুন মোস্তফা কামালকে গ্রেফতার করা হয়। ওই বছরের ১১ জুন কারাগারে থাকা এরশাদকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

বিজ্ঞাপন

মামলা দায়েরের ১৯ বছর পর মামলাটি শেষ পর্যায়ে পৌঁছালেও বিচারক বদলি হওয়ায় তা আবার পিছিয়ে যায়।

গত ২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক হোসনে আরা আকতার ওই বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি রায়ের জন্য দিন নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু রায়ের মাত্র ১৩ দিন আগে ২৯ জানুয়ারি তিনি পরিবর্তন হওয়ায় মামলাটির বিচারের দায়িত্ব পান দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা জজ হাসান মাহমুদ ফিরোজ।

হাসান মাহমুদ ফিরোজের আগে গত ১৯ বছরে বিভিন্ন সময়ে ২২ জন বিচারক এ মামলাটিতে বিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৯৮১ সালের ১ জুন জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। মঞ্জুর হত্যা মামলায় মোট ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ২০১২ সালের ২ অক্টোবর আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এরশাদ। এর সমর্থনে আদালতে লিখিত বক্তব্যও দাখিল করেন তিনি।

ওই ঘটনায় জড়িত থাকা আসামিরা বর্তমানে সবাই জামিনে রয়েছেন।

এরশাদ বিচারক মঞ্জুর হত্যা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর