নেত্রকোণার ৩৫৬ প্রাথমিক বিদ্যালয় চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকে
২৭ আগস্ট ২০১৯ ০৮:০০
নেত্রকোণা: জেলার ১৭টি উপজেলায় ১ হাজার ৩১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৫৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। এতে বিদ্যালয় সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনাসহ শিক্ষার্থীদের পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। এর মধ্যে কেন্দুয়া, পূর্বধলা, কলমাকান্দা, বারহাট্টা ও খালিয়াজুরি উপজেলায় শূন্য পদের সংখ্যা বেশি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলায় নতুন জাতীয়করণ করা বিদ্যালয় নিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ১ হাজার ৩১৪টি। বিদ্যালয়গুলোতে বর্তমানে ৩ লাখ ৭২ হাজার ৩৮৩ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। এর মধ্যে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ৩১০ জন।
এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক মিলে অনুমোদিত পদ রয়েছে ৭ হাজার ৭০৬টি। কর্মরত রয়েছেন ৬ হাজার ৯০৮ জন। প্রধান শিক্ষকের অনুমোদিত পদ আছে ১ হাজার ২৯৫টি। বাকি ১৯টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের কোনো অনুমোদিত পদ নেই। আর এসব পদে কর্মরত ৯৩৯ জন। আর বাকি ৩৫৬টি বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়েই চলছে।
এদের মধ্যে কলমাকান্দা উপজেলার প্রধান শিক্ষকের ১৫৯টি পদের মধ্যে ৩৪টি, আটপাড়ায় ১০৩টির মধ্যে ১৬টি, কেন্দুয়ায় ১৮২টির মধ্যে ৭৪টি, দূর্গাপুরে ১২৬টির মধ্যে ২০টি, সদরে ২০১টির মধ্যে ২৬টি, পূর্বধলায় ১৭৫টির মধ্যে ৬৭টি, বারহাট্টায় ১০৯টির মধ্যে ৩৬টি, মদনে ৯৩টির মধ্যে ২৭টি, মোহনগঞ্জে ৮৮টির মধ্যে ২৪টি ও খালিয়াজুরীতে ৫৯টির মধ্যে ৩২টি পদ শূন্য রয়েছে।
পূর্বধলা, মদন, কেন্দুয়া ও কলমাকান্দার ১৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা জানান, তারা এখন সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের দ্বৈত ভূমিকা পালন করছেন। প্রশাসনিক দিক সামলানোর পর প্রতিদিন সাত-আটটি ক্লাস নিতে হয়। এতে তাদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।
জেলার কলমাকান্দা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ও মদন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার সূত্রধর বলেন, ‘পদ শূন্য থাকায় খুব সমস্যা হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের দিয়ে সবকিছু ঠিকভাবে করা যায় না। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, আমি শূন্যপদের বিষয়টি অবহিত আছি। যত দ্রুত সম্ভব পদগুলো পূরণের জন্য কেন্দ্রীয় শিক্ষা কর্মকর্তা, অধিদফতর, শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানিয়েছি। আশা করা যাচ্ছে, দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।