জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকীতে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা
২৭ আগস্ট ২০১৯ ১০:২১
ঢাবি: জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকাল থেকেই বিভিন্ন সংগঠনসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কবির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে থাকে।
এদিন সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মাদ সামাদ, জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল প্রমুখ কবির সমাধিতে ফুল দেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘জাতীয় কবি নজরুল অসাম্প্রদায়িকতা, সাম্য, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির প্রতীক। তার এই মূল্যবোধগুলোর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল কবির সাহিত্যকর্মের মধ্যে। যা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় অসাধারণ অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবির এই গুরুত্ব অনুধাবণ করেই তাকে ঢাকায় ফিরিয়ে এনে নাগরিকত্ব প্রদান করেন। কবির প্রাসঙ্গিকতা সব সময় সমকালীন।’
জাতীয় কবির ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার
জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে নজরুলকে নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। এখন তার সাহিত্যকর্ম বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত করে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে হবে। এতে করে সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা ও হানাহানি থেকে বিশ্ব মুক্তি পাবে।’
এছাড়া কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দলটি সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নজরুল ছিলেন অসাম্প্রদায়িক ও মানবতাবাদী চেতনার কবি। তার সাহিত্যকর্মের মধ্যে সেটা ফুটে ওঠেছে। কবির এই চেতনাকে ধারণ করেই আমাদের নেত্রী অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় হাতে নিয়েছে।’
বিএনপির পক্ষ থেকে সংগঠনের যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বলেন, ‘জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদেরকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শপথ নিতে হবে। জাতীয় কবি যে আমাদের যে বিদ্রোহ শিখিয়েছেন, সেই বিদ্রোহে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করবো।’
কবির সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান নজরুল সংগীত শিল্পী পরিষদ, জাতীয় কবিতা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদ, নজরুল চর্চা কেন্দ্র বাঁশরী, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাসদসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।